বিধিনিষেধ কঠোরভাবে পালন ও টিকা কার্যক্রম জোরদার করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ
নভেল করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বগতি রোধে দেশব্যাপী সরকারঘোষিত বিধিনিষেধ (লকডাউন) কঠোরভাবে পালনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই সঙ্গে কোভিড টিকাদান কার্যক্রম আরও জোরদার করারও নির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।
মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে আজ সোমবার প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশনা দেন। প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এখন ওয়ার্ড পর্যায়ে জোর দেওয়া হবে।
‘এভাবে রোগী বাড়লে হাসপাতালে জায়গা হবে না’
নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় গতকাল উদ্বেগ প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী। তিনি বলেন, প্রতিদিনই হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপ বাড়ছে। এভাবে সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে হাসপাতালগুলোতে জায়গা দেওয়া যাবে না।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। দেশবাসীকে সরকারঘোষিত লকডাউন মেনে চলতে হবে। আমরা চাই, রোগীর সংখ্যা যেন আর না বাড়ে। সংক্রমণ কমাতে হলে সরকার যে বিধিনিষেধ জারি করেছে সেগুলো মেনে চলতে হবে।
করোনাভাইরাসের বিষয়ে মানুষকে আরও সচেতন হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, নিজ নিজ অবস্থানে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে যাবেন না। তিনি বলেন, আমাদের অনুরোধ সত্ত্বেও ঢাকা শহরের বিভিন্ন রাস্তায় প্রচুর লোক ঘোরাফেরা করছে। অনেকের মাস্ক পর্যন্ত পরে নাই। মানুষ গাড়িতে ও মোটরসাইকেলে ঘুরছে। করোনা সংক্রমণ অব্যাহত থাকলে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আমাদরে দেশের অর্থনীতিতে বিরূপ প্রভাব পড়বে।
ডেঙ্গু রোগীর বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এখন ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে চলছে। একদিকে করোনা ও নন-করোনা রোগীর চিকিৎসা অন্যদিকে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় চিকিৎসকদের হিমশিম খেতে হচ্ছে।
ডেঙ্গু রোগীর চিকিৎসার জন্য পৃথক কয়েকটি হাসপাতাল প্রস্তুত করা হচ্ছে। এর মধ্যে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ (মিটফোর্ড) হাসপাতাল, মিরপুরের লালকুঠি হাসপাতাল, সরকারি রেলওয়ে হাসপাতাল, টঙ্গীর আহসানউল্লাহ হাসপাতালসহ কয়েকটি হাসপাতালে শুধু ডেঙ্গুর চিকিৎসা হবে।