নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেছেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র কাঠামোতে এই যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে উৎসাহিত করা, এটা বোধহয় সম্ভব নয়। সমীচীনও নয়।’

আজ মঙ্গলবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে এক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘একটা ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে, ৩৬০ জন চেয়ারম্যান পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন, পত্রিকামতে। আর এক হাজার ৬০০ প্রার্থী নির্বাচিত হয়েছেন অন্যান্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। এমন একটা সংস্কৃতি গড়ে উঠেছে। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রকাঠামোতে এই যে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচনকে উৎসাহিত করা, এটা বোধ হয় সম্ভব নয়। সমীচীনও নয়।’

মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘নির্বাচনপ্রক্রিয়া পরিবর্তন করলে এ অবস্থা থেকে উদ্ধার পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে নতুন করে ভাবতে হবে। ভবিষ্যতে যারা নির্বাচন কমিশনে কাজ করবেন, তারা এ ব্যাপারে অবশ্যই ভেবে দেখবেন বলে আশা রাখি।’

সভার আলোচনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার বলেন, চট্টগ্রামের সংশ্লিষ্ট সব বিভাগের কর্মকর্তারা তাদের অভিমত ব্যক্ত করেছেন। সুন্দর নিরপেক্ষ নির্বাচন করার ব্যাপারে অসুবিধা এবং এ পর্যন্ত যে নির্বাচন হয়েছে, তার চেয়ে কীভাবে আরও ভালো নির্বাচন করা যায়, তা নিয়ে সবার সঙ্গে আলোচনা হয়েছে।

ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হয়েছে উল্লেখ করে ইসি মাহবুব তালুকদার বলেন, ‘ষষ্ঠ ধাপের নির্বাচনে সর্বত্র ইভিএম ব্যবহার করা হবে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আরও সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে এগোচ্ছি।’

মাহবুব তালুকদার আরও বলেন, ‘এ নির্বাচন কমিশনের আয়ুষ্কাল আর মাত্র ৫৫ দিন। তার আগে তারা তাদের দায়িত্ব সুসম্পন্ন করতে চান। বাংলায় প্রবাদ আছে, যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। কাজেই এই শেষ ভালোটাকে আমরা সব ভালোর মধ্যে নিয়ে আসতে চাই।’

চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার। বিভাগীয় কমিশনার মো. কামরুল হাসানের সভাপতিত্বে ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও শান্তপূর্ণ করতে বক্তারা আইন-শৃঙ্খলাবিষয়ক মতবিনিময় সভায় আলোচনা করেন।