বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে আ.লীগ রক্তাক্ত পথে হাঁটছে : রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেছেন, আওয়ামী লীগের সন্ত্রাস ও অপকীর্তির শেষ নেই। বিরোধী দলকে নিশ্চিহ্ন করতে ওরা রক্তাক্ত পথে হাঁটছে। গতরাতে আওয়ামী লীগের দুষ্কৃতকারিরা বাগেরহাট জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম ভুঁইয়া তানুকে বাগেরহাট শহরে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। আওয়ামী লীগ হত্যায় উৎসাহী একটি রাজনৈতিক দল।
আজ শনিবার সকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, বিরোধী দলের নিরপরাধ লোকজনদের হত্যার শাস্তি না হওয়ায় দুর্বৃত্তরা সহিংস কার্যাবলী অব্যাহত রেখেছে। ছাত্রলীগ-যুবলীগের মানুষ হত্যার বীরত্বে আওয়ামী শাসকগোষ্ঠী দারুণ উল্লসিত ও উত্তেজিত। মানুষ হত্যায় এদের কলঙ্কের তীব্রতা এতটাই বেশি যে, তারা আর কোনো কিছু লুকিয়ে রাখতেও লজ্জা পাচ্ছে না। এদের সময়ে পিলখানার বিডিআর হত্যা, সাংবাদিক হত্যা, শিক্ষক হত্যা, ছাত্র হত্যা, শ্রমিক হত্যা থেকে শুরু করে বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের হত্যা কোনটিরই কমতি করেনি। যাদেরকেই তারা সরকারের বিরোধী মনে করে তাদেরকেই ধরাতল থেকে অদৃশ্য করতে দ্বিধা করে না। সেই ধারাবাহিকতায় গতকাল হত্যা করা হলো স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুরে আলম ভুঁইয়া তানুকে। শাসকগোষ্ঠী নিজেদের সমষ্টিগত সুখময় জীবন গড়ে তুলতেই বিরোধী পক্ষকে নিশ্চিহ্ন করার এজেন্ডা বাস্তবায়ন করছে। আইনশৃঙ্খলার ধ্বজাধারীরা সরকারের প্রাইভেটবাহিনীর ভূমিকা পালন করতেই ব্যস্ত রয়েছে। সাধারণ গণতান্ত্রিক নিয়ম পদ্ধতি এবং নির্বাচনি রায়ের মধ্য দিয়ে জনগণের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতাকে আটকিয়ে দিয়ে খুন ও অত্যাচারের পথে হাঁটছে আওয়ামী সরকার। সারা দেশে বিভিন্ন জনপদে যুবলীগ-ছাত্রলীগকে দিয়ে তারা খুনে বাহিনী তৈরী করেছে।
রিজভী বলেন, নরসিংদী জেলাধীন সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ইউপি মেম্বার ইমাম হাসান এর বাড়ি থেকে বোমা ও গান পাউডারসহ বিস্ফোরক দ্রব্যাদি পাওয়া গেলেও নরসিংদী জেলাধীন সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য সচিব কাইয়ুম সরকারকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বিস্ফোরক মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই মামলায় বিএনপির অন্য আসামিরা হলেন-বিএনপি নেতা মহসিন হোসেন বিদ্যুৎ, ইলিয়াস আলী ভুইয়া, জাহিদুল কবির ভুঁইয়া, সুমন চৌধুরী, শামীম সরকার, হুমায়ুন কবির রাসেল, নজরুল ইসলাম ও শাহ আলম চৌধুরী। আমি এ ধরনের ন্যক্কারজনক ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং অবিলম্বে বিএনপি নেতা কাইয়ুম সরকারের নিঃশর্ত মুক্তি এবং বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানাই।