বিস্কুট খেয়ে মাদ্রাসা ছাত্রের মৃত্যুর অভিযোগ, অসুস্থ ৬
যশোরর শার্শার নারায়ণপুর আশরাফুল মাদারিস কওমি মাদ্রাসায় বিস্কুট খেয়ে মাহিন (১৩) নামে এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ শুক্রবার বিকেলে শার্শার নারায়ণপুর আশরাফুল মাদারিস কওমি মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে।
ওই বিস্কুট খেয়ে মাদ্রাসার আরও ছয় ছাত্র অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাদের মধ্যে মামুনুর রশিদ (১০) নামে এক ছাত্রকে গুরুতর আহত অবস্থায় যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নারায়ণপুর আশরাফুল মাদারিস কওমি মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ মাওলানা আনারুল ইসলাম জানান, ছাত্ররা আজ দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে ছিল। তারপর বিকেলে এক ছাত্রের বাড়ি থেকে দেওয়া বিস্কুট খাওয়ার পর ছাত্ররা হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎক মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করেন। আহতদের মধ্যে এক ছাত্রকে যশোরে পাঠানো হয়েছে।
ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রের দুলাভাই রাসেল আহমেদ (যিনি বিস্কুট কিনে দিয়েছিলেন) বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার নাভারন বাজারের ফুটপাথ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের দুই প্যাকেট বিস্কুট কিনে দিয়েছিলাম। আজ বিকেলে সংবাদ পাই, সেই বিস্কুট খেয়ে আমার শ্যালকসহ সাতজন বাচ্চা অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তার মধ্যে একজন মারা গেছে।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সিদ্দিকুর রহমান জানান, বিকেলে কওমি মাদ্রাসার সাত ছাত্রকে অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এলে মাহিন নামে এক ছাত্রকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। এক ছাত্রের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিদের চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সবাই ভালো আছে।
এ ব্যাপারে শার্শা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন খান বলেন, ‘বিষয়টি আমি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ তদন্ত করছে। নিহত শিশুর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুর কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’