বিয়ের পিঁড়িতে বসা হলো না হাদিসুরের
বড় স্বপ্ন নিয়ে ছেলেকে লেখাপড়া করিয়েছিলেন বাবা-মা। স্বপ্ন পূরণও হয়েছিল। চাকরিও পেয়েছিলেন মেধাবী সন্তান হাদিসুর। কথা ছিল দেশে এলেই এবারে ছেলেকে বিয়ে করাবেন। চাকরিজীবী ছেলের উপার্জনের উপর নির্ভর করে নতুন ঘরও দিয়েছেন। কিন্তু সবকিছু এলোমেলো হয়ে গেল। ইউক্রেন যুদ্ধে রকেট হামলায় সব স্বপ্ন উড়িয়ে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন বরগুনার বেতাগী উপজেলার হাদিসুর রহমান আরিফ।
চিটাগাং মেরিন একাডেমির ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন হাদিসুর রহমান। গত বছর ১২ ডিসেম্বর বাংলার সমৃদ্ধি নামের বেসরকারি একটি পণ্যবাহী জাহাজের থার্ড ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে চাকরি হয় হাদিসুরের।
হাদিসুরের বাবা আবদুর রাজ্জাক হাওলাদার পেশায় একজন শিক্ষক। তার চার ছেলে-মেয়ের মধ্যে একমাত্র উপার্জনক্ষম হাদিসুর। হাদিসুরের মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে হোসনাবাদ গ্রামে। দূরদূরান্ত থেকে লোকজন এসে ভিড় করছেন নিহত হাদিসুরের বাড়িতে।
বাবা-মা ও স্বজনদের একটাই চাওয়া হাদিসুরের লাশটা যেন তারা দেখতে পান। কিন্তু সর্বনাশের যুদ্ধ সে পথ যেন রুদ্ধ করে রেখেছে। অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে মরদেহ দেশে ফেরত আনার।