মসজিদে একামত দেওয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে সংঘর্ষে নিহত ১
ঝিনাইদহ সদর উপজেলার গোয়ালপাড়া-পুটিয়া গ্রামে নামাজে একামত দেওয়া নিয়ে বিতর্কের জেরে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। আজ শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষে নিহত ব্যক্তির নাম মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস (৪০)। তার বাড়ি ওই গ্রামেই। এ ঘটনার জেরে বেশ কয়েকটি বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনাও ঘটেছে। উত্তেজনা নিরসনে গ্রামটিতে অবস্থান নিয়েছে বিপুল পুলিশ।
ঝিনাইদহ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তদন্ত এমদাদুল হক জানান, গতকাল গ্রামের জামে মসজিদে এশার নামাজ আদায় করার সময় একামত দেওয়া নিয়ে মুসল্লিদের মধ্যে বিতর্ক ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এর জের ধরে ফজরের নামাজেও বাগবিতণ্ডা হয়। পরে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বউবাজার নামক স্থানে গ্রামের উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়।
ওসি আরও জানান, উভয় পক্ষ গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এক পর্যায়ে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হন মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে এবং উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় দুজনকে ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, গতকাল শনিবার এশার নামাজের সময় গ্রামের জামে মসজিদের ঈমাম জহুরুল ইসলাম গ্রামের জাহিদুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তিকে একামত দিতে বলেন। ওই মসজিদে নিয়মিত একামত দিয়ে থাকেন একই গ্রামের বিপুল মোল্লা। কেন বিপুলের পরিবর্তে জাহিদুলকে একামত দিতে বলা হলো, এ নিয়ে মসজিদের ভেতরেই নিহত মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস চিৎকার শুরু করে দেন। সে সময় দুই পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনাও ঘটে।
এশার নামাজের ঘটনার জেরে আজ ফজরের নামাজ আদায় শেষে ফের উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে সকালে নিহত মোদাচ্ছের হোসেন ও প্রতিপক্ষ জাফর মোল্লার সমর্থকরা গ্রাম্য অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে গ্রামের বউবাজারে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিপক্ষের হামলায় ঘটনাস্থলেই নিহত হন মোদাচ্ছের হোসেন বিশ্বাস। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়। এর জেরে চারটি বাড়িতে হামলাসহ ভাঙচুরের খবর পাওয়া গেছে। এলাকায় তুমুল উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরে পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়। এখনো উত্তেজনা নিরসনে কাজ করে যাচ্ছে পুলিশ।