মির্জা ফখরুল, মির্জা আব্বাসের জামিন শুনানি বিকেলে
ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন করা হয়েছে। আজ বুধবার এ জামিন আবেদন করা হয়। বিকেলে জামিন আবেদনের বিষয় শুনানির সময় ঠিক করেছেন আদালত। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেসবাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তিন বার নাকচ করেন ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম)। বিএনপি নেতাদের জামিনের বিরোধিতা করে রাষ্ট্রপক্ষ। তাদের যুক্তি, জামিন পেলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন নাকচ করেন।
এর আগে গত সোমবার মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, মির্জা আব্বাসসহ ২২৪ জনের জামিন আবেদন নাকচ করেন ঢাকার সিএমএম আদালত। আর সোমবার আরও ১০৬ জন বিএনপির নেতা–কর্মীর জামিন আবেদন নাকচ করেন আদালত।
৭ ডিসেম্বর রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে দলটির নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এতে একজন নিহত ও অর্ধশত লোক আহত হন। সংঘর্ষের পর পুলিশ বিএনপির কার্যালয়ে অভিযান চালায়।
ঘটনার পরদিন পল্টন, মতিঝিল, রমনা ও শাহজাহানপুর থানায় পৃথক চারটি মামলা করে পুলিশ। এতে ২ হাজার ৯৭৫ নেতা-কর্মীকে আসামি করা হয়। তাঁদের মধ্যে নাম উল্লেখ করা হয়েছে ৭২৫ জনের। তবে নাম উল্লেখ করা বিএনপির নেতাদের মধ্যে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাস ছিলেন না। ওপরের নির্দেশে’ ওই দুই নেতার বাসায় ৮ ডিসেম্বর (গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে) পৃথক অভিযান চালায় গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। দুজনকে প্রথমে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে। বাসা থেকে নিয়ে যাওয়ার প্রায় ১১ ঘণ্টা পর মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে গ্রেপ্তারের কথা স্বীকার (৯ ডিসেম্বর দুপুরে) করেছিল ডিবি।
তখন ডিবি আনুষ্ঠানিকভাবে বলেছিল, ‘পুলিশের ওপর বর্বরোচিত হামলা, উসকানিদাতা, পরিকল্পনাকারী ও নির্দেশদাতা হিসেবে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’ পরে তাঁদের পল্টন থানার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।
৭ ডিসেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশের চার মামলায় এখন পর্যন্ত গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৮ জনকে। তাঁদের মধ্যে ৩১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। অন্যদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আর দুজনকে (আমানউল্লাহ ও আবদুল কাদের) জামিন দেন আদালত। কারাগারে পাঠানো নেতাদের মধ্যে রয়েছে রুহুল কবির রিজভী, আবদুস সালাম, খায়রুল কবির, শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী প্রমুখ।