মোংলায় পানির নিচে সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের, আশ্রয়কেন্দ্রে শুকনো খাবার সংকট
ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর প্রভাবে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত জারি হওয়ার পর দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত মোংলার বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ১০ হাজার ৪শ মানুষ আশ্রয় নিয়েছেন। ঝড় বৃষ্টি ও জলোচ্ছ্বাসে এখানকার সাড়ে ৬শ চিংড়ি ঘের তলিয়ে গেছে। বন্ধ রয়েছে মোংলা বন্দরে পণ্য ওঠানামা ও পরিবহণের কাজ। ঝড়ে আশ্রয় নেওয়া লোকজনের জন্য সরকারি খাদ্য সহায়তা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এখনও পৌঁছায়নি। তবে এক লাখ টাকা ত্রাণ সহায়তা পেয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রাতে শুকনো খাবার দেওয়া হবে আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে। তবে মোংলায় শুকনো খাবারের চরম সংকট রয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. জাফর রানা।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব (বোর্ড ও জনসংযোগ বিভাগ) কালাচাঁদ সিংহ বলেন, বিদেশি সকল জাহাজের পণ্য বোঝাই-খালাস বন্ধ রেখে নিরাপদে থাকার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বন্দরের নিজস্ব নৌযানগুলো নিরাপদে রাখা হয়েছে। চ্যানেলের বিভিন্ন স্থানে থাকা পণ্যবাহী কার্গো-কোস্টারগুলোকে নিরাপদে সতর্কাবস্থায় থাকতে বলা হয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ অমরেশ চন্দ্র ঢালী বলেন, ঝড়টি বর্তমানে মোংলা বন্দর থেকে ৩৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। মোংলায় বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটার। আর ভোর ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১৯৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। ঝড়টি আজ মধ্যরাত কিংবা ভোর রাত নাগাদ উপকূল অতিক্রম করতে পারে।