মোদির আসা নিয়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে : হানিফ
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসা নিয়ে পাকিস্তানি প্রেতাত্মারা সিদ্ধান্ত নেওয়ার কে?’
হানিফ বলেছেন, ‘২৬ মার্চ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসার কথা। পাকিস্তানের প্রেতাত্মারা হঠাৎ নতুন করে সুর তুলছে তারা নাকি নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দিতে চায় না। রাষ্ট্রীয় অতিথি হিসেবে যিনি আসবেন, দেশের প্রত্যেকটি মানুষের দায়িত্ব তাঁকে সম্মান করা। পৃথিবীর সব রাষ্ট্রের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে নীতি হিসেবে জাতির পিতা ঘোষণা করে গেছেন। তবে কোনো দেশের সঙ্গে সমস্যা থাকলে তা দ্বিপাক্ষিক সিদ্ধান্তে সমাধান করা হবে।’
আজ মঙ্গলবার দুপুরে লক্ষ্মীপুর জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে মাহবুব উল আলম হানিফ এসব কথা বলেন। শহরের ওয়েলকাম চাইনিজ রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে জেলা আওয়ামী লীগ এ সভার আয়োজন করে।
আওয়ামী লীগের যু্গ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘১৯৭৪ সালে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী জুলফিকার আলী ভুট্টু বাংলাদেশে এসেছিলেন। কই সে সময় তো আপনারা একজনও প্রতিবাদ করেননি? একাত্তরের গণহত্যায় ৩০ লাখ মানুষকে হত্যা করেছিল, দুই লাখের বেশি মা-বোনকে পাশবিক নির্যাতন করেছিল। সেই মানবতাবিরোধী ও গণহত্যাকারী ভুট্টু যখন এসেছিলেন কই সেদিন তো কিছু বলেননি। তখন তো প্রতিবাদ করেন নাই। তখন তো বলেন নাই, গণহত্যার জন্য ক্ষমা চেয়ে বাংলাদেশে আসুন। তখন তো রাস্তায় দাঁড়িয়ে স্বাগত জানিয়েছিলেন। কারণ ওটা ছিল পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী।’
শেখ হাসিনা নিজেকে বিশ্বের মধ্যে অত্যন্ত যোগ্য দক্ষ রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন উল্লেখ করে হানিফ বলেন, ‘বিদেশি অতিথিরা বলছেন, শেখ হাসিনা এখন অনেকের কাছে অনুপ্রেরণাময়ী নেতা। আমেরিকান সাংবাদিক নিকোলাস ডোনাবেট ক্রিস্টোফ লিখেছেন, ‘শেখ হাসিনার নেতৃত্বে নারীর ক্ষমতায়ন ও শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠা আমেরিকার জন্যও অনুপ্রেরণা হতে পারে। আমাদের গর্বে বুক ভরে যায়।’
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকু। সাধারণ সম্পাদক নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলি এবং যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশিদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন লক্ষ্মীপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজাহান, আওয়ামী লীগনেতা এমএ তাহের, এম আলাউদ্দিন, সফিকুল ইসলাম, মিজানুর রহিম, একেএম নুরুল আমিন, সফিক মাহমুদ পিন্টু, মামুনুর রশিদ, ইসমাইল খোকন, কাজী জামশেদ কবির বাকি বিল্লাহ, আবুল কাশেম চৌধুরী, ইসমাইল হোসেন চৌধুরী ও একেএম সালাহ উদ্দিন টিপুসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।
প্রসঙ্গত, আগামী ১১ এপ্রিল লক্ষ্মীপুর-২ (রায়পুর ও সদরের একাংশ) আসনের উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এতে নৌকার প্রার্থী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুর উদ্দিন চৌধুরী নয়ন। তাঁর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় সদস্য ফায়িজ উল্যাহ শিপন ও বাংলাদেশ কংগ্রেসের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ।