মৌলভীবাজারে যুবলীগ নেতাকে হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও যুবলীগ নেতা নাজমুল হাসানকে কুপিয়ে হত্যার দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ একটি মাইক্রোবাস জব্দ ও চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নিজ কার্যালয়ে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জাকারিয়া সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সিসি টিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে আসামিদের শনাক্ত করা হয়েছে। গতকাল গভীর রাতে বিদেশ যাওয়ার সময় মামলার অন্যতম প্রধান আসামি খালেদ মিয়াকে ঢাকার কমলাপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ সময় তার কাছ থেকে পাসপোর্ট, টিকেট, দুটি ড্রাইভিং লাইসেন্স, দুটি মোবাইল ফোন, পাঁচটি দেশি-বিদেশি সিমকার্ড ও ৩৩৮ দেহরাম জব্দ করা হয়।
এর আগে বিভিন্ন স্থান থেকে গাড়িচালক আমির হেসেন হিরা, জুয়েল মিয়া ও তফজ্জুল আলীসহ মোট চারজনকে গ্রেপ্তার হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, চৈত্রঘাট বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি নাজমুল হাসান ও পরিকল্পনাকারী জুয়েল মিয়ার মধ্যে পূর্ব থেকে বিরোধ ছিল। এসব বিরোধ নিয়ে তাদের মধ্যে কয়েকটি মামলা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ বি এম মুজাহিদুল ইসলাম, মৌলভীবাজার সদর মডেল থানার ওসি ইয়াছিনুল হক, কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান, জেলা গোয়েন্দা শাখার ওসি মো. বদরুজ্জামানসহ প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা।
পুলিশ সুপার আরও জানান, দুর্বৃত্তরা মৌলভীবাজার শহরের একটি বাসায় বৈঠক করে। গত রোববার (৩১ অক্টোবর) দুপুর ২টার দিকে মাইক্রোবাসে চৈত্রঘাট বাজারে নাজমুলের বাসার সামনে আসে। এরপর দুর্বৃত্তরা নাজমুলকে উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে সিলেটের একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে ওই দিন সন্ধ্যা ৭টার দিকে নাজমুলের মৃত্যু হয়।
গুরুতর আহতবস্থায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নাজমুল হাসান লাইভ করে ঘটনাকারীদের নাম জানান। এরপর সিসি টিভি ক্যামেরায় ধারণ করা হত্যাকাণ্ডের দৃশ্যও ভাইরাল হয়।
এ ঘটনায় ১৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং তিন থেকে চারজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।