ময়মনসিংহে ছাত্রদল ও পুলিশের মধ্যে সংঘর্ষে আহত ৩০
ময়মনসিংহ শহরের চরকালিবাড়ি এলাকায় ছাত্রদলের সভাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও ছাত্রদলের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া, ইট-পাটকেল নিক্ষেপ, লাঠিপেটা ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ছাত্রদলের নেতা ও পুলিশসহ অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
আহত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) ফারুক হোসেন, ওসি (অপারেশন) ওয়াজেদ আলীসহ ১০ পুলিশ সদস্য এবং ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামল, ঢাকা মহানগর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাবিবুর রশিদ হাবিব, ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সম্পাদক মাজেদুর রহমান রুমন, বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক নাইমুল করিম লুইন, মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন, দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক রায়হান, উত্তরের সাধারণ সম্পাদক রায়হান শরীফ হলুদসহ ২০ ছাত্রদল নেতাকর্মী। এ সময় বেশ কয়েকজনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাজেদুল ইসলাম রুমন বলেন, আজ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সভা শুরু হয়। আর দুপুর ১২টার দিকে পুলিশ সভাস্থলে হামলা চালায়। ময়মনসিংহ মহানগর, উত্তর ও দক্ষিণ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) ছাত্রদলের উদ্যোগে দক্ষিণ চরকালিবাড়িতে একটি মাঠে সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভা চলছিল। দুপুর ১২টার দিকে সভাস্থলে গিয়ে বিনা উসকানিতে পুলিশ হামলা চালিয়ে সভা পণ্ড করে দেয় এবং নেতাকর্মীদের আহত করে।
এ বিষয়ে পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আহমার উজ্জামান জানান, চরকালিবাড়ি এলাকায় কোভিড নিষেধাজ্ঞা ভঙ্গ করে ছাত্রদল সমাবেশ করছিল। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে বিনা উসকানিতে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ সময় বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন। পুলিশের ওপর হামলাকারী কয়েকজনকে আটক করা হযেছে।