যমুনার পানি বৃদ্ধি : বগুড়ার দুই উপজেলার ৫১ হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত
যমুনায় অব্যাহত পানি বৃদ্ধির ফলে বগুড়ার সোনাতলা ও সারিয়াকান্দি উপজেলার একটি পৌরসভা এবং ১২টি ইউনিয়নের ৮৮টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ১২ হাজার ৭০০টি পরিবারের প্রায় সাড়ে ৫০ হাজার ৮০০ জন মানুষ।
চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে ঘরবাড়ি রাস্তাঘাট তলিয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছে এলাকার লোকজন। এসব এলাকায় খাবার বিশুদ্ধ পানি ও গবাদি পশুর খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে।
জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, বগুড়ায় গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি এক সেন্টিমিটার কমেছে। নদীর পানি বিপৎসীমার ৬৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
বগুড়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা শরফুল ইসলাম গতকাল শুক্রবার বলেছিলেন, শুক্রবার সারিয়াকান্দি উপজেলায় আরও ৫০ টন চাল এবং নগদ দুই লাখ টাকা দেওয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত বন্যা প্রবণ উপজেলায় ১৭০ টন চাল উপ-বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আমরা বন্যা প্রবণ এলাকা এবং বন্যার্তদের সার্বক্ষণিক খবর রাখছি।’
পানি উন্নয়ন বোর্ড বগুড়ার নির্বাহী প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান জানিয়েছিলেন, বাঁধে বসতি থাকলে কিছু জায়গায় ইদুরের গর্ত থাকে। সেই গর্ত দিয়ে পানি চুইয়ে পশ্চিম পাড়ে আসছে। তবে, এতে কোনো সমস্যা নেই। যমুনা নদীর পানি ৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়বে। আগামী সপ্তাহ থেকে পানি কমার সম্ভাবনা রয়েছে।