যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার প্রতিবেদনে ‘মৌলিক ত্রুটি’ পেয়েছে ঢাকা : পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
২০২৩ সালের ২০ মার্চ মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের প্রকাশ করা মানবাধিকার প্রতিবেদনে কিছু ‘মৌলিক ত্রুটি ও ভুল’ রয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
গতকাল মঙ্গলবার (২১ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘আমরা মার্কিন পক্ষের কাছে এই ত্রুটিগুলো উত্থাপন করব, যাতে আগামী বছরের প্রতিবেদনে এই ধরনের বিষয়ের অস্তিত্ব না থাকে।’
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে উচ্চপর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় সফর এবং বিভিন্ন স্তরে বৈঠক হবে, যেখানে এই সমস্যাগুলো নিয়ে কথা হবে।’
প্রতিমন্ত্রী এ সময় ‘বিতর্কিত’ মানবাধিকার গোষ্ঠী ‘অধিকার’-এর কথা উল্লেখ করেন, যা মার্কিন প্রতিবেদনের একটি সূত্র হিসেবে উদ্ধৃত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘অধিকারের বাংলাদেশে কাজ করার কোনো বৈধ নথি নেই।’
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রাজনৈতিক ইতিহাস ও পরিচয় আছে এমন কোনো সুশীল সমাজ সংগঠন বা এনজিওকে নিরপেক্ষ দৃষ্টিতে দেখার সুযোগ নেই।’
শুধু যুক্তরাষ্ট্র নয়, অন্যান্য দেশও বাংলাদেশে নিবন্ধিত নয়—এমন প্রতিষ্ঠান থেকে দূরত্ব বজায় রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রতিমন্ত্রী।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘একের পর এক ভুল করতে থাকলে এ ধরনের প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া আমরা খতিয়ে দেখব, আরও কোনো সমস্যা আছে কি না, যা আমাদের বিবেচনায় নেওয়া দরকার।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘এটা খুবই দুঃখজনক যে বাংলাদেশকে হেয় করার প্রবণতা রয়েছে।’
অন্যদিকে বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস বলেছেন, সম্মান ও অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে যুক্তরাষ্ট্র নিয়মিত বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে মানবাধিকার বিষয়গুলো আলোচনা করে এবং তারা তা অব্যাহত রাখবে।
মার্কিন রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘ব্যক্তিগত অধিকারের প্রতি সম্মানের প্রচার নিরাপদ, স্থিতিশীল ও সমৃদ্ধ বিশ্ব তৈরি করতে সাহায্য করে।’
ইউএস ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট ২০২২ সালে ‘কান্ট্রি রিপোর্টস অন হিউম্যান রাইটস প্র্যাকটিস’-শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে, যা মার্কিন আইন অনুযায়ী একটি প্রয়োজনীয় বার্ষিক প্রতিবেদন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মানবাধিকারকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রেখেছেন। জাতিসংঘের মানবাধিকার চুক্তি দ্বারা পরিচালিত দেশটি ১৯৮টি দেশ এবং অঞ্চল থেকে তথ্য নথিভুক্ত করে। প্রায় পাঁচ দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্র এসব প্রতিবেদন প্রকাশ করছে।