রাজধানীতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যা মামলায় দুজন রিমান্ডে
রাজধানীর একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগের মামলায় তাঁর দুই সহপাঠীকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। পরে আদালত ওই দুজনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মোহাম্মদপুর জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মো. রওশানুল হক সৈকত আজ সোমবার দুপুরে এনটিভি অনলাইনকে এ তথ্য জানান।
মো. রওশানুল হক সৈকত বলেন, ‘ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভুইয়ার আদালত এ রিমান্ডের আদেশ দেন। রিমান্ডে নেওয়া দুজন হলো, মর্তুজা রায়হান চৌধুরী (২১) ও নুহাত আলম তাফসীর (২১)। রিমান্ডের পর আমরা তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করছি। রিমান্ডে মামলার এজাহারের তথ্যের মিল পাওয়া যাচ্ছে। জোর করে মদ্যপানের কথা স্বীকার করেছে আসামিরা।’
এর আগে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. সাজেদুল বলেন, ‘আমরা বিস্তারিত জিজ্ঞাসাবাদ করছি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে এ ব্যাপারে বিস্তারিত বলা যাবে। এ ছাড়া ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে সব ঘটনা বের হয়ে আসবে। এ ঘটনায় গতকাল চারজনকে আসামি করে ওই শিক্ষার্থীর বাবা একটি মামলা করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো একজনকে আসামি করা হয়।’
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, গত ২৮ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় মর্তুজা রায়হান চৌধুরী ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে মিরপুর থেকে বন্ধু আরাফাতের বাসায় যান। এরপর তিনজন উবারে করে উত্তরা ৩ নম্বর সেক্টরের ব্যাম্বোস্যুট রেস্টুরেন্টে যান। সেখানে আগে থেকেই আরেক আসামি নেহা এবং আরেক সহপাঠী উপস্থিত ছিলেন। সেখানে আসামিরা ওই তরুণীকে জোর করে ‘অধিক মাত্রায়’ মদপান করান।
মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, মদ্যপানের একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অসুস্থ বোধ করলে রায়হান মোহাম্মদপুরে তাঁর এক বান্ধবীর বাসায় পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে নুহাতের বাসায় নিয়ে যান। সেখানে তরুণীকে একটি রুমে নিয়ে ধর্ষণ করেন রায়হান। এ সময় রায়হানের বন্ধুরাও রুমে ছিল। ধর্ষণের পর রাতে ওই শিক্ষার্থী বমি করলে রায়হান তার আরেক বন্ধু অসিম খানকে ফোন দেন। সেই বন্ধু পরের দিন এসে ওই তরুণীকে প্রথমে ইবনে সিনা ও পরে আনোয়ার খান মডার্ন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। দুদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর গতকাল রোববার ওই তরুণী মারা যান।