লক্ষ্মীপুরে টিকাকেন্দ্রে দুই স্বেচ্ছাসেবীকে মারধর, কার্যক্রম বন্ধ
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে করোনার টিকাপ্রত্যাশী এক নারীর আত্মীয় জেলা রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দুই কর্মীকে মারধর করেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুর থেকে কর্মীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছে। খবর পেয়ে পুলিশ ও স্বাস্থ্য বিভাগের শীর্ষ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহতরা হলেন সায়মা মোহসিনা ও সুদীপ্ত কর্মকার। তারা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির হয়ে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে করোনার টিকাদান বুথে দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সদর হাসপাতালে টিকাপ্রত্যাশী নারীরা শনিবার সকাল থেকে টিকার প্রথম ডোজ নেওয়ার জন্য জমায়েত হন। তারা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকা গ্রহণ করেন। বেলা ১১টার দিকে মধ্যবয়সী এক নারী লাইনে না দাঁড়িয়ে পুরুষ আত্মীয়ের মাধ্যমে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করেন। এ সময় রেডক্রিসেন্টের কর্মীরা তাকে বাধা দেয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দুইকর্মীকে কিল-ঘুষিসহ মারধর করে টিকা না নিয়েই দ্রুত সটকে পড়েন। ঘটনার পর দুই ঘণ্টা টিকা কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়েছে।
রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির দলনেতা মো. মোহন বলেন, ‘মানবিক কারণে আমরা স্বেচ্ছায় লোকজনকে টিকা দিতে সাহায্য করছি। কিন্তু অনেকে আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করছেন। এ পর্যন্ত চার থেকে পাঁচ বার কর্মীরা লাঞ্ছিত হয়েছে।’
জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ইউনিট অফিসার নাসরিন আক্তার বলেন, ‘আমাদের দুই সদস্যকে মারধর করা হয়েছে। এরপর থেকে আমরা সেবা কার্যক্রম বন্ধ রেখেছি। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে। আমাদের সদস্যদের নিরাপত্তা পুলিশ দেওয়ার কথা থাকলেও তারা আন্তরিক না।’
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসীম উদ্দীন বলেন, ‘খবর পেয়ে সদর হাসপাতাল ও জেলা পরিষদের টিকাদান কেন্দ্র পরিদর্শন করা হয়েছে। সেখানে এখন থেকে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।’
লক্ষ্মীপুর জেলা সিভিল সার্জন ডা. আব্দুল গাফফার বলেন, ‘ভিড় থাকায় স্বেচ্ছাসেবীরা টিকা প্রত্যাশীদের নিয়ন্ত্রণ করতে হিমশিম খাচ্ছে। বিশৃঙ্খলা এড়ানো ও তাদের নিরাপত্তায় পুলিশ থাকবে।’