শরীয়তপুরে ট্রলারডুবি : দ্বিতীয় দিনের উদ্ধারকাজ চলছে
শরীয়তপুরের জাজিরা থেকে জেলে ট্রলারে পদ্মা নদী পার হয়ে শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার সময় ট্রলারডুবির ঘটনায় দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে দ্বিতীয় দিনের উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পদ্মা নদীতে ট্রলারটি ডুবে যায়। এ ঘটনায় একজনের লাশ উদ্ধার হয়েছে। তবে নিখোঁজ রয়েছে ওই ট্রলারে থাকা আরও চারজন। রাতে স্রোত ও অন্ধকার নেমে আসায় উদ্ধারকাজ বন্ধ রাখা হয়েছিল।
উদ্ধার হওয়া নিহত ব্যক্তির নাম মো. আবদুর রহমান আকন্দ (৭০)। তিনি জাজিরা উপজেলার বাসিন্দা।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, বৈরি আবহাওয়ার কারণে বন্ধ ছিল লঞ্চ চলাচল। এ জন্য গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে পালেরচর ঘাট থেকে ১৮ জন যাত্রী নিয়ে একটি মাছ ধরার ট্রলার শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিল। পথে পদ্মা নদীর পৌলান মোল্লাকান্দি এলাকায় পৌঁছালে ট্রলারটি ডুবে যায়।
দুর্ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি হওয়া হাসান নামের এক ব্যক্তি বলেন, ‘গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার কিছু আগে পালেরচর থেকে মাছ ধরার ট্রলারে করে শিমুলিয়া ঘাটের দিকে যাচ্ছিলাম। আবহাওয়া খারাপ থাকায় লঞ্চ বন্ধ ছিল। ট্রলারে করে কিছুদূর যাওয়ার পর ঢেউ ও স্রোতের কারণে ট্রলারটি উল্টে যায়। এতে সবাই ডুবে যায়। কেউ কেউ সাঁতরে তীরে আসতে পারে।
জাজিরার ইউএনও আশরাফুজ্জামান ভূঁইয়া জানান, ঘূর্ণিঝড় ‘ইয়াস’-এর প্রভাবে জাজিরা ঘাট থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছিল। কিছু লোক জাজিরার পূর্ব নাওডোবা জিরো পয়েন্ট থেকে জেলে ট্রলারে করে পদ্মা নদী পার হয়ে মাওয়া-শিমুলিয়া ঘাটে যাওয়ার চেষ্টা করে। ট্রলারটি তীর থেকে ছেড়ে নাওডোবা ও পালেরচর মাঝামাঝি এলাকায় পদ্মা নদীতে গেলে ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়।
ইউএনও আরও জানান, আজ শুক্রবার সকাল ৮টা থেকে জাজিরা নৌ-পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা দ্বিতীয় দিনের মতো উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এরই মধ্যে আবদুর রহমান আকন্দ (৭০) নামের একজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ট্রলারে থাকা আরও চারজন নিখোঁজ রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কেউ দাবি করেনি যে, কারও স্বজন নিখোঁজ রয়েছে। নিখোঁজের কথা লোকমুখে শুনেছি। তাই আবারও উদ্ধারকাজ শুরু করা হয়েছে।’