শিমুলিয়া-বাংলাবাজারে থামেনি ফেরিতে যাত্রী পারাপার
নভেল করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সরকারঘোষিত সর্বাত্মক বিধিনিষেধের সঙ্গে গত শুক্রবার (৯ জুলাই) থেকে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহণ করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) বিশেষ নিষেধাজ্ঞার পরও শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে ফেরিতে গাড়ি পারাপার থামেনি। প্রতিদিনই যাত্রী ও যাত্রীবাহী যানবাহন ফেরিতে করে পারাপার হতে দেখা যাচ্ছে এই নৌরুটের ফেরিতে।
আজ সোমবার সকালে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাট হয়ে ফেরিতে পদ্মা পার হতে দেখা যায় শতশত যাত্রীকে। এ সময় উভয় পাড়ের ঘাট হয়ে যাত্রীবাহী গাড়িও পার হয়। পুলিশের চেকপোস্ট, ঘাট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা আর কঠোর বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে যাত্রীরা ফেরিঘাটে উপস্থিত হচ্ছে। ফেরিতে উপেক্ষিত থাকছে স্বাস্থ্যবিধি। এতে খাতা-কলমে নির্দেশনা থাকলেও বাস্তবে তৈরি হয়েছে উলটো চিত্র।
আসন্ন ঈদ ও লকডাউনের সময় বৃদ্ধিকে কেন্দ্র করে ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থান থেকে যাত্রীরা দক্ষিণবঙ্গে যাচ্ছে। একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গের যাত্রীরাও অনেকে ঢাকায় ফিরছে।
এ বিষয়ে বিআইডব্লিউটিসির শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক বশির আহমেদ জানান, এই নৌরুটে বর্তমানে ৯টি ফেরি চালু রয়েছে। সোমবার ভোর থেকে যাত্রী ও ছোট গাড়ির চাপ আছে। ঘাট এলাকায় পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে দুই শতাধিক পণ্যবাহী গাড়ি।
গত শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সেদিন থেকে ফেরিতে জরুরি পণ্যবাহী গাড়ি ও অ্যাম্বুলেন্স ব্যতীত যাত্রীবাহী সব ধরনের গাড়ি ও যাত্রী পরিবহণ বন্ধ থাকবে।