শিমুলিয়া-মাওয়া ঘাটে এখনও পারের অপেক্ষায় শত শত গাড়ি
পদ্মায় তীব্র স্রোতের কারণে মাওয়ায় ফেরি পারাপারে বেশি সময় লাগছে। তাই ঘাটে গাড়ির দীর্ঘ সারি। এমন পরিস্থিতে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়াঘাটে ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলগামী শতশত যাত্রীর আজ বুধবার ঈদ কেটেছে পদ্মা পাড়েই।
শিমুলিয়া ফেরিঘাটের পার্কিং ইয়ার্ডে এখনও পারাপারের অপেক্ষায় শতশত গাড়ির সারি। ঘাট অভিমুখে ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতেও পণ্যবাহী ট্রাকের কয়েক কিলোমিটার দীর্ঘ সারি। ঘাটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায় ব্যক্তিগত গাড়িতে আসা যাত্রীদেরও। তবে প্রতিটি ফেরিতেই রাজধানীর পশুর হাটে অবিক্রিত গরু ভর্তি ট্রাক নিয়ে ফিরছে বেপারীরা।
ট্রাকচালক মো. সবুজ বলেন, ‘পড়শু আইছি। যামু যশোরে। ঘাটেই ঈদ করলাম। ট্রাক ভরা মাল, পদ্মা কখন পারি দিমু জানি না।’
মাইক্রোবাসের যাত্রী আব্দুল হাই বলেন, ‘দুই ভাইবোনের পরিবারের ১০ জন মিলে আমরা যশোর যাচ্ছি। রাত ১০টায় রওনা হয়েছি। মনে করলাম যানজট কম থাকবে। কিন্তু রাত পার হয়ে সকাল হলো, এখনও ঘাট পার হতে পারিনি।’
ফরিদপুরের সাদেক মিয়া জানান, ঢাকায় গিয়েছিলেন গরু বিক্রি করতে। সব গরু বিক্রি না হওয়ায় ফিরছেন দুটি গরু নিয়ে।
বিআইডাব্লিউটিসি শিমুলিয়া ঘাটের সুপারভাইজার শাহাবুদ্দিন আহমেদ আজ বিকেলে জানান, শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে বর্তমানে পাঁচটি রোরো, পাঁচটি ঠেলা, চারটি কে-টাইপ, দুটি মিডিয়ামসহ মোট ১৬টি ফেরি যানবাহন পারাপারে সচল রয়েছে। ঢাকা-মাওয়া মহাসড়কে তিন শতাধিক ও ঘাটে দুই শতাধিক মিলিয়ে পাঁচ শতাধিক যানবাহন এখনও পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।