শিশু বলাৎকার : মাদ্রাসা শিক্ষকের যাবজ্জীবন
রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার সরদার বাড়ি আলকাসিম মারকাজুত তাহফিজ মাদ্রাসার নাজারা বিভাগের ৯ বছরের এক শিক্ষার্থীকে বলাৎকারের দায়ে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক মো. হাসমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। আজ রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এর বিচারক সামছুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের সরকারি কোঁসুলি (পিপি) আলী আসগর স্বপন এনটিভি অনলাইনকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘মাদ্রাসা শিক্ষক হাসমত আলীকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সে অর্থ পরিশোধে ব্যর্থ হলে আরও তিন মাস সশ্রম কারাদণ্ড ভোগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
পিপি বলেন, ‘আজ রায় ঘোষণার সময় আসামি হাসমত আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিচারক রায় শেষে তার জামিন বাতিল করে সাজা পরোয়ানাসহ কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ২৬ নভেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে বলাৎকার করেন মাদ্রাসা শিক্ষক হাসমত আলী। সে সময় বিষয়টি কাউকে না জানাতে হুমকিও দেন তিনি। পরবর্তীতে ওই শিশু তার মাকে বিষয়টি জানায়। পরে তার মা ২০১৯ সালের ১ ডিসেম্বর রাজধানীর দক্ষিণখান থানায় মামলা করেন। মামলার পরে দক্ষিণখান থানার সহকারী পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম হাসমত আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র ঢাকার সিএমএম আদালতে দাখিল করেন।
অভিযোগপত্রের পরে মামলাটি ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৫ এ বিচারের জন্য বদলি হয়ে আসে। এরপরে ওই আদালতে ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ হয়। সেই অভিযাগ গঠনের মধ্যে দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়।