শোক দিবসে ছয় হাজার অসহায়-দুস্থের মধ্যে খাবার বিতরণ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ঢাকা-৫ আসন এলাকায় ছয় হাজার দুস্থ-অসহায় মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন। আজ রোববার দুপুরে নিজের হাতে এসব খাবার সাধারণ মানুষের মধ্যে তুলে দেন তিনি।
এ সময় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ ও সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক তারিক সাঈদ উপস্থিত ছিলেন।
খাবার বিতরণের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন জিয়াউর রহমান। তিনিই পরবর্তীতে খুনি ও স্বাধীনতা বিরোধীদের রাজনৈতিকভাবে লালন-পালন করতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দাবি করেন তিনি।
স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু বলেন, ইতিহাসের জঘন্যতম এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের বিচার হয়েছে। এটা জাতির কাছে স্বস্তির। তবে এখনো অনেক খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে। তাদের দ্রুত দেশে এনে বিচার করতে হবে। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের বেনিফিসিয়ালি এবং এই খুনের সঙ্গে জড়িত জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করতে হবে। কারণ তখন তিনি সামরিক বাহিনীর সেকেন্ড ইন কমান্ড থাকার পরও কোনো উদ্যোগ নেননি। বরং যোগ্যতা না থাকার পরও পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে খুনিদের বিভিন্ন বিদেশি দূতাবাসে পুনর্বাসন করেছেন। জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার করে জাতিকে দায়মুক্তি করার দাবি জানান তিনি।
‘স্বেচ্ছাসেবক লীগ লোক দেখানো নয়, সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করছে’ জানিয়ে আফজালুর রহমান বাবু বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেবামূলক কাজ করতে স্বেচ্ছাসেবক লীগ প্রতিষ্ঠা করেছেন। সংগঠনের নেতাকর্মীরা সেই লক্ষ্য বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে।
এ সময় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর সবচেয়ে বেশি বেনিফিসিয়ালি হয়েছে জিয়াউর রহমান। খুনিদের পুনর্বাসন করে তিনি প্রমাণ করেছেন বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। ’৭৫ এর খুনিদের দেশে-বিদেশে চাকরি দিয়ে, ব্যবসা-বাণিজ্য দিয়ে পুরস্কৃত করেছিলেন, রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছিলেন জিয়া। এখন সময় এসেছে ওই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কুশীলবদের বের করার। জাতি এখন জিয়াউর রহমানের মরণোত্তর বিচার দেখতে চায়। তদন্ত কমিশন গঠন করে ১৫ আগস্টের মাস্টার মাইন্ডদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান তিনি।
করোনাভাইরাস মহামারির শুরু থেকে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও ঢাকা-৫ আসনের অসহায় ও দুস্থ মানুষের কাছে খাদ্যসামগ্রী ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা সামগ্রী নিয়ে ছুটে চলা কামরুল হাসান রিপন বলেন, সেবার মানসিকতা নিয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগ সব সময় এভাবেই মানুষের জন্য কাজ করে যাবে।
পরে স্বাস্থ্যবিধি মেনে অসহায়-দুস্থদের মধ্যে গণভোজের খাবার বিতরণ করা হয়। একই সঙ্গে ১৫ আগস্টে নিহত সব শহীদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া কামনা করা হয়।