সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান-সিইওসহ আট কর্মকর্তা রিমান্ডে
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুড লিমিটেডের জুস কারখানায় অগ্নিকাণ্ডে প্রাণহানীর ঘটনায় দায়ের করা হত্যামামলায় সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল হাশেমসহ আট শীর্ষ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য চারদিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।
আজ শনিবার বিকেলে আট আসামিকে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ফাহমিদা খানম প্রত্যেকের চারদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন সজীব গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আাবুল হাশেম, আবুল হাশেমের চার ছেলে হাসিব বিন হাশেম, তারেক ইব্রাহীম, তাওসীব ইব্রাহীম ও তানজীম ইব্রাহীম এবং প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শাহান শাহ আজাদ, হাশেম ফুড লিমিটেডের ডিজিএম মামুনুর রশিদ ও অ্যাডমিন প্রধান সালাউদ্দিন।
এদের সবাইকে আজ শনিবার বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার পর পরই গোটা ভবনে লেলিহান শিখা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং ফায়ার সার্ভিসের ১৮টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করে। এখনো সেই উদ্ধারকাজ চলছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ৫২ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার মো. জায়েদুল আলম গণমাধ্যমকে মামলা দায়ের ও আসামিদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আজ পুলিশ বাদী হয়ে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় ৩০২ ধারায় এই মামলা করেছে। মামলার বাদী হয়েছেন ভুলতা ফাঁড়ির পরিদর্শক নাজিমুদ্দীন মণ্ডল। মামলায় সজীব গ্রুপের শীর্ষ আট কর্মকর্তার নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করা হয়েছে।’
সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি
কারখানায় এই অগ্নিকাণ্ড ও প্রাণহানির ঘটনা তদন্তে সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এ কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গতকাল দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মোস্তাইন বিল্লাহ এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শামীম বেপারীকে আহ্বায়ক করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি চাইলে আরও লোক নিতে পারবে। যদি তাঁরা মনে করেন, পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের লোক নেবেন, নিতে পারবেন।’
নিহতের পরিবার পাবে দুই লাখ টাকা
ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে নিহত শ্রমিকদের পরিবারকে শ্রম কল্যাণ ট্রাস্ট থেকে দুই লাখ টাকা এবং আহত শ্রমিকদের ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। গতকাল ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুন্নুজান সুফিয়ান।