সাঁথিয়ায় আ.লীগের দুপক্ষের সংঘর্ষ, পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের ছয়জন আহত হয়েছেন। এছাড়া পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকিও দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার বিকেল ৪টার দিকে সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগের সূত্রে পুলিশ জানায়, ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটি গঠন উপলক্ষে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কমিটিতে বিএনপি-জামায়তের কর্মীদের অন্তর্ভুক্তির অভিযোগ করে স্থানীয় নেতাকর্মীরা। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগে অভিযোগ দেন তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল বিকেলে উভয় পক্ষকে আসতে বলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা। নেতাদের ডাকে ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন, আক্কাছ আলী আকুসহ নেতাকর্মীরা সেখানে যান। গ্রাম কমিটি নিয়ে আকুর সঙ্গে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংসদ সদস্য শামসুল হক টুকুর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) আমজাদ হোসেন নিজেই চেয়ার তুলে আওয়ামী লীগ কর্মী মামুনকে মারলে তাঁর কান কেটে রক্তাক্ত হওয়ায় উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি লাইসেন্স করা পিস্তল নিয়ে জয়নালের বুকে ঠেকিয়ে খুন করার হুমকি দেন। খবর পেয়ে সাঁথিয়া থানা পুলিশ আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে গেলে মারামারি থেমে যায়। এ সংঘর্ষে ছয় নেতাকর্মী আহত হন।
ক্ষেতুপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ওরা চেয়ার দিয়ে মারপিট করছে দেখে আমি নিষেধ করি। এ সময় শফি পিস্তল নিয়ে আমার বুকে ঠেকিয়ে হত্যা করার হুমকি দেন।’
এ ঘটনায় ক্ষেতুপাড়া গ্রাম কমিটির সহসভাপতি খোরশেদ আলম বাদী হয়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর পারসোনাল অফিসারকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে সাঁথিয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
অপর পক্ষের আহত আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে জয়নাল আবেদীনকে প্রধান আসামি করে সাতজনের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দেন।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ নেতা শফিকুল ইসলাম শফি তাঁর বিরুদ্ধে পিস্তল ঠেকানোর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘জয়নালরাই আমার ওপর হামলা করেছে।’
এ ব্যাপারে সাঁথিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) দায়িত্বে থাকা উপপরিদর্শক একরামুল হক জানান, উভয়পক্ষের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে।