সাংবাদিক নোমানকে হত্যার হুমকিতে নিন্দা ও দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবি
সাংবাদিক এম এ নোমানকে হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে দোষীকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়েছে সাংবাদিক সংগঠনগুলো। আজ রোববার বিবৃতিতে সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ বলেন, হুমকির ঘটনায় দোষীকে খুঁজে বের করে অবিলম্বে আইনের আওতায় নিয়ে আসতে হবে।
এম এ নোমানকে হুমকির ঘটনায় ডিআরইউর নিন্দা
এনটিভি অনলাইনের জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক এম নোমানকে হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ)। ডিআরইউ কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি নজরুল ইসলাম মিঠু ও সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম হাসিব আজ রোববার এক বিবৃতিতে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ
এনটিভি অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিক এম এ নোমানকে টেলিফোনে (০১৯৮৬০৪৩২৩১) হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন। সংগঠনটির সভাপতি কাদের গণি চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মো. শহিদুল ইসলাম ও সাংগঠনিক সম্পাদক দিদারুল আলম এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। হুমকির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
ল’ রিপোর্টার্স ফোরামের নিন্দা ও প্রতিবাদ
সুপ্রিম কোর্ট সাংবাদিকদের সংগঠন ল’রিপোর্টার্স ফোরামের কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে সভাপতি আশুতোষ সরকার এবং সাধারণ সম্পাদক আহাম্মেদ সরোয়ার হোসেন ভুঁঞা আজ রোববার এক বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের হুমকির ঘটনা স্বাধীন সাংবাদিকতার অন্তরায়। হুমকির ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান নেতৃবৃন্দ।
ক্র্যাবের উদ্বেগ ও গভীর উদ্বেগ প্রকাশ
এনটিভির অনলাইনের সিনিয়র রিপোর্টার এম এ নোমানকে মুঠোফোনে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের (ক্র্যাব)। ক্র্যাব সভাপতি মির্জা মেহেদী তমাল ও সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বিকুসহ কার্যনির্বাহী কমিটির নেতৃবৃন্দ এম এ নোমানকে হুমকি দেওয়ার ঘটনায় হুমকি দাতাকে শনাক্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থার হস্তক্ষেপ কামনা করেন নেতৃবৃন্দ।
বিএসআরএফ-এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ
এনটিভি অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিক এম এ নোমানকে টেলিফোনে (০১৯৮৬০৪৩২৩১) হত্যার হুমকির ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ)। বিএসআরএফ এর সভাপতি তপন বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে এক বিবৃতিতে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন। পাশাপাশি হুমকি দাতাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি করেছেন। বিএসআরএফ নেতৃবৃন্দ বলেছেন, দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
এফইআরবির তীব্র প্রতিবাদ ও গভীর উদ্বেগ
ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ-এফইআরবির সদস্য ও এনটিভি অনলাইনের সিনিয়র সাংবাদিক এম এ নোমানকে টেলিফোনে হত্যার হুমকি দেওয়ার ঘটনায় এফইআরবি এর পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে। পাশাপাশি হুমকিদাতাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানাচ্ছে এফইআরবি। নেতৃবৃন্দ বলেন, এম এ নোমানকে হুমকিদাতা দোষী ব্যক্তিকে দ্রুত সময়ে চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরামের নিন্দা
সাংবাদিক এম এ নোমানকে হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন ঢাকাস্থ চাঁদপুর জেলা সাংবাদিক ফোরাম। সংগঠনটির সভাপতি মিজান মালিক ও সাধারণ সম্পাদক এ কে এম রাশেদ শাহরিয়ার স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, ঘটনার সাথে জড়িত ব্যক্তিকে খুঁজে বের করে অবিলম্বে বিচারের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানার থানা পুলিশ আইনের শাসন রক্ষায় তৎপর হবেন বলেও আশা প্রকাশ করেন নেতৃবৃন্দ।
এদিকে এ ঘটনায় দ্রুত তদন্ত করে দোষীকে খুঁজে বের করা হবে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহমুদা রহমান। এ ছাড়া যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম বলেন, জিডিটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। আগামীকাল থেকে এ বিষয়ে তদন্ত শুরু হবে।
এর আগে প্রাণনাশের হুমকির ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন এম এ নোমান। যাত্রাবাড়ি থানায় করা জিডিতে এম এ নোমান বলেন, ৬ আগস্ট শনিবার দিনগত রাত ১২টা ৮ মিনিটের দিকে তাঁর মুঠোফোনে ০১৯৮৬০৪৩২৩১ নম্বর থেকে কল আসে। রিসিভ করতেই তাঁকে হুমকি-ধমকি দেওয়া হয়। পরিচয় জানতে চাইলে ওপাশ থেকে বলা হয়, ‘তোর হাড়গোড় গুঁড়া করে ফেলব। তুই বাসা থেকে বের হবি তো, তখন বুঝবি।’
এ সময় সাংবাদিক নোমান ওই ব্যক্তির কাছে কী কারণে হুমকি দিচ্ছেন জানতে চেষ্টা করেন এবং আবারও তাঁর পরিচয় জানতে চান। কিন্তু, হুমকিদাতা পরিচয় গোপন রেখে আরও উত্তেজিত হন এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকেন। একই সঙ্গে চিৎকার করে বলতে থাকেন, ‘সময়মতো আমারে চিনবি। তখন তুই বুঝতে পারবি, আমি কে।’ এরপর লাইন কেটে দেন।
নোমান বলেন, ‘এমন হুমকিতে আমি, আমার সন্তানরাসহ পরিবারের সবাই চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমি প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়ে থানায় জিডি করেছি।’