সাকিব ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে, জানাল ডিবি
খুনের মামলায় আসামি রবিউল আলম। এখন তিনি আরাভ খান। এই পরিচয়ে ভারতীয় পার্সপোর্টের মাধ্যমে আছেন দুবাই। এখন সেখানে নামিদামি স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সদ্য উদ্বোধন করা হয়েছে তার স্বর্ণ ব্যবসার দোকান। যার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যান বাংলাদেশের তারকা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলম। এ ঘটনার তদন্তের স্বার্থে সাকিব আল হাসান ও হিরো আলমকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পারে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত কমিশনার ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। এদিকে, ইন্টারপোলের মাধ্যমে আরাভ খানকে দেশে ফিরিয়ে আনার আইনি চেষ্টা চালানোর কথা বলেছে ডিবি।
এক প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘তদন্তের স্বার্থে আমরা যদি প্রয়োজন মনে করি তবে তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
আরাভ খানই যে রবিউল, ডিবি কখন নিশ্চিত হয়েছে—এমন প্রশ্নের জবাবে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘যখন কোনো মামলার চার্জশিট প্রদান করা হয়, তখন সব আসামিররা কে কোথায় আছে, তা খোঁজ খবর নেওয়া হয়। আরাভ খানের বিভিন্ন ছবি প্রকাশ হয় এবং সাকিব আল হাসান টেলিভিশন ও ফেসবুকে ওই স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছিলেন। সবকিছু মিলেই আমরা তথ্য পায় আরাভ খানই পুলিশ খুনের মামলার আসামি রবিউল ইসলাম।’
ক্রিকেটার সাকিব অথবা অন্য যারা দুবাইয়ে গেছেন, ডিবি কারও সঙ্গে কথা বলেছেন কিনা—প্রশ্নের জবাবে হারুন অর রশীদ বলেন, ‘সাকিবসহ অন্যান্যদেরও জানানো হয়েছে। জানানোর পরেও তারা কেন খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাই গেলেন, এটা আমি জানি না।’ তিনি আরও বলেন, ‘আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম একজন খুনি, সে একজন মেধাবী পুলিশ কর্মকর্তাকে খুন করেছে। মিডিয়াতে ও অনেকের বলার পরেও সাকিবসহ অনান্য স্টার খুনের মামলার আসামির ডাকে দুবাইয়ে গেছেন। এবং তার স্বর্ণের দোকান উদ্বোধনে যোগ দিয়েছেন।’
ডিবি প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আমাদের পুলিশের একজন মেধাবী কর্মকর্তা ছিলেন পরিদর্শক মামুন। তাকে শুধু হত্যাই করেনি, তার মরদেহটি যেন না পাওয়া যায়, তাই কালীগঞ্জের জঙ্গলে ফেলে দিয়েছিল। এ ঘটনার পর মামলা হয়, এরপর ডিবি তদন্ত করেছে। আসামি আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম পালিয়ে গেলেও নকল একজন আসামি জেলখানায় দেয় সে। পরবর্তীতে ডিবির তদন্তে নকল আসামির ঘটনা সামনে আসে। এরমধ্যে মূল আসামি দুবাইয়ে স্বর্ণের দোকানের মালিক রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান ভারতে পালিয়ে যায়। সেখানে তিনি ভারতীয় পাসপোর্টে দুবাই যান।’