সাতক্ষীরায় উপসর্গে আটজনের মৃত্যু, লকডাউনে যৌথ টহল
সাতক্ষীরায় করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও আটজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ের মধ্যে ৩৫৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে করোনা পজিটিভ পাওয়া গেছে ১২০ জনের। সংক্রমণের হার ২৮ দশমিক ৮৯ শতাংশ।
এর আগের দিন সংক্রমণের হার ছিল ১২ দশমিক ৮০। এর আগের নয় দিনে শতাংশের হার ছিল যথাক্রমে ১৭ দশমিক ৬৯, ৩০ দশমিক ৮৬ শতাংশ, ২৭ দশমিক ৫০ শতাংশ, ২৮ দশমিক ২ শতাংশ, ৩২ দশমিক ৭২ শতাংশ, ২৭ দশমিক ০৪ শতাংশ, ৩০ দশমিক ৩৭ শতাংশ, ৩৮ দশমিক ৫১ শতাংশ ও ৪৯ দশমিক ০৫ শতাংশ।
জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, এখন পর্যন্ত ৪১০ জন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের মধ্যে করোনা পজিটিভ ৩৮ জন। অন্যরা উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বছরব্যাপী করোনা উপসর্গে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩৭১ এ। অপরদিকে করোনা সংক্রমিত হয়ে মারা গেছে ৭৫ জন।
অপরদিকে, গত ৩০ জুন অক্সিজেন সংকটের কারণে চারজন করোনা রোগীসহ উপসর্গ নিয়ে আরও চারজনের মৃত্যুর ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি প্রথম দিনের মতো ঘটনাস্থল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পরিদর্শন করে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেছেন। তারা ওইদিনের প্রকৃত ঘটনা কি তা অনুসন্ধান করে বের করার চেষ্টা করছেন।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. রাশেদা সুলতানার গঠিত এই তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন সহকারী পরিচালক ডা. রফিকুল ইসলাম গাজী ও মোংলা পোর্ট স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোশাররফ হোসেন।
এর আগে গত ১ জুলাই স্থানীয়ভাবে সরকারি মেডিকেল কলেজের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত ই খুদার গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি এখনও তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।
এই কমিটির প্রধান সরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের প্রধান ডা. কাজী আরিফ আহমেদ বলেন, ‘তদন্তের জন্য আমরা আরও সাত দিন সময় চেয়েছি।’
এদিকে, বিশেষ লকডাউনের পঞ্চম দিন আজ। সোমবার শহরে লোকজনের উপস্থিতি ছিল কম। সেনা, পুলিশ ও বিজিবি টহলে ছিল। এ সময় স্বাস্থ্য সচেতনতা বৃদ্ধি করতে পুলিশের বিশেষ মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।