সিরাজগঞ্জে পাঁচ উপজেলার ২৫ ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি
সিরাজগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে সিরাজগঞ্জে যমুনা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। একই সঙ্গে বাড়ছে জেলার অভ্যন্তরীণ নদ-নদীর পানিও। ফলে জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে।
যমুনা নদীর চরাঞ্চল, নিম্নাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী এলাকার বসত-বাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমি প্লাবিত হওয়ায় বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে পাঁচটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের মানুষ।
গত ২৪ ঘণ্টায় যমুনা নদীর পানি ছয় সেন্টিমিটার বৃদ্ধি পেয়ে আজ মঙ্গলবার সকালে সিরাজগঞ্জ শহর রক্ষা বাঁধ হার্ড পয়েন্টে বিপৎসীমার ৪০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। একই সময়ে কাজিপুর মেঘাই ঘাট পয়েন্টেও যমুনা নদীর পানি বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক আব্দুল লতিফ।
যমুনা ও অভ্যন্তরীণ চলনবিল, ইছামতি, করতোয়া, ফুলঝোড় ও বড়াল নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নিম্নাঞ্চল, চরাঞ্চল ও অভ্যন্তরীণ নদী তীরবর্তী নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এর মধ্যেই জেলার পাঁচটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে। বন্যা প্লাবিত এলাকায় বসতবাড়ি, রাস্তা-ঘাট ও ফসলি জমিতে পানি উঠে পড়ায় বিপাকে পড়ছে জনসাধারণ। অনেকেই বসতবাড়ি রেখে শহর রক্ষা বাঁধসহ উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম বলেন, বন্যাকবলিত পাঁচটি উপজেলায় কী পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা জানাতে উপজেলা প্রশাসনকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। তবে যমুনা নদী বেষ্টিত পাঁচটি উপজেলার ২৫টি ইউনিয়নের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত মানুষের জন্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে।