সুনামগঞ্জে চলন্ত বাসে ‘ধর্ষণচেষ্টা’ : চালক গ্রেপ্তার
সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলায় চলন্ত বাসে এক কলেজছাত্রীকে (১৭) ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে চালক শহীদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এসে নামার সময় আজ শনিবার সকাল ৬টার দিকে পুরাতন বাসস্টেশন থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। সুনামগঞ্জের পুলিশ সুপার (এসপি) মো. মিজানুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এ ঘটনায় এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে চালকের সহকারী আবদুর রশিদকে (২৭) গ্রেপ্তার করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। ছাতক থানাধীন বুরাইগাঁও এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এসপি মো. মিজানুর রহমান জানান, চালক শহীদ মিয়াকে নানা কৌশলে ঢাকা থেকে সুনামগঞ্জে এনে আজ ভোর ৬টার দিকে শহরের পুরাতন বাসস্টেশন থেকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি।
দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে চলন্ত বাসে গত ২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণচেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ ওঠে বাসের চালক ও তাঁর সহকারীর বিরুদ্ধে। এ সময় রক্ষা পেতে ওই কিশোরী বাস থেকে লাফিয়ে রাস্তার পাশে পড়ে গেলে স্থানীয়রা আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে।
আহত ওই কিশোরী দিরাই পৌর শহরের বাসিন্দা। সে স্থানীয় একটি কলেজের শিক্ষার্থী।
ওই কিশোরীর চাচা জানান, সিলেটের লামাকাজী এলাকায় আত্মীয়ের বাড়ি থেকে সুনামগঞ্জের দিরাই পৌর শহরে নিজবাড়িতে যাওয়ার জন্য ওই কিশোরী শনিবার দুপুরে দিরাইগামী একটি বাসে ওঠে। বাসটি দিরাই পৌরসভার সুজানগর গ্রামের পাশে পৌঁছানো পর্যন্ত ওই কিশোরী ছাড়া একে একে সব যাত্রী নেমে যায়। এ সময় বাসের চালক ও তাঁর সহকারী মিলে কিশোরীকে একা পেয়ে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। সেসময় নিজেকে রক্ষা করতে বাস থেকে লাফ দিয়ে সড়কে পড়ে যায় ওই কিশোরী। পরে গ্রামবাসী আহত অবস্থায় কিশোরীকে উদ্ধার করে দিরাই হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান।
এ ঘটনায় বাসের চালক ও তাঁর সহকারীসহ তিনজনকে আসামি করে গত রোববার রাতে দিরাই থানায় মামলা করেন ওই কলেজছাত্রীর বাবা।