স্ত্রীকে তালাক দিলেন ক্রিকেটার আল-আমিন
বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্রিকেটার আল-আমিন হোসেন তাঁর স্ত্রী ইসরাত জাহানকে তালাক দিয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার স্ত্রী ইসরাত জাহানের মাসিক ভরণপোষণ ও সন্তানদের পড়ালেখার খরচের দাবি করা মামলায় ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. তোফাজ্জল হোসেনের আদালতে এ জবাব দাখিল করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত এ বিষয়ে পাঁচ দিন পর শুনানি ধার্য করেন।
ক্রিকেটার আল আমিন উল্লেখ করেন, গত ২৫ আগস্ট স্ত্রীকে তিনি তালাকের নোটিশ দিয়েছেন। তিনি মোহরানা ও খরপোষ দিতে রাজি আছেন। আর দুই সন্তানের খরচ তিনি নিয়মিত দিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন। পরে বিচারক শুনানির জন্য এ দিন ধার্য করেন।
এদিকে, বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. শামসুজ্জামান আদালতে শুনানিতে বলেন, ‘আমরা মামলা করেছি ভরণপোষণ ও শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করার জন্য। এখন আল-আমিন বলছেন, তিনি বাদীকে তালাক দিয়েছেন। অথচ, সেই মর্মে কোনো ডকুমেন্টস দাখিল করেননি। তিনি বলেছেন দুই ছেলের ভরণপোষণ দিচ্ছেন। অথচ, আমাদের কাছে প্রমাণ আছে, বড় ছেলের স্কুলে ৫০ হাজার টাকা টিউশন ফি বাকি আছে। আদালত জবাবের বিষয়ে পাঁচ দিন পর শুনানির জন্য রেখেছেন।’
নথি থেকে জানা গেছে, ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর ইসরাত জাহান ও আল-আমিন বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। তাদের দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। বড় ছেলে মিরপুর ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল ও কলেজে ইংরেজি ভার্সনে কেজিতে পড়ালেখা করছে। বেশ কিছুদিন ধরে আল-আমিন তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের ভরণপোষণ প্রদান করেন না এবং খোঁজ না নিয়ে এড়িয়ে চলছেন। যোগাযোগও করেন না।
আরও বলা হয়, গত ২৫ আগস্ট রাত সাড়ে ১০টার দিকে আল আমিন বাসায় এসে স্ত্রীর কাছে যৌতুকের জন্য ২০ লাখ টাকা দাবি করেন। ইসরাত জাহান টাকা দিতে অস্বীকার করলে আল-আমিন তাকে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষিসহ লাথি মেরে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। সংসার করবে না বলে জানায়। ইসরাত জাহান ৯৯৯-এ টেলিফোন করে সাহায্য চাইলে পুলিশ এসে তাকে উদ্ধার করে। সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন ইসরাত জাহান।
এ ঘটনায় ১ সেপ্টেম্বর মিরপুর মডেল থানায় মামলাও হয়। সর্বশেষ গত ৩ সেপ্টেম্বর আল-আমিন তাঁর মায়ের মাধ্যমে জানান, ইসরাতের সঙ্গে সংসার করবে না এবং সন্তানদের ভরণপোষণ দেবেন না। প্রয়োজনে বাসা থেকে বের করে স্ত্রীকে তালাক দেবেন।