সড়কবাতিতে আলোকিত হচ্ছে ময়মনসিংহ মহানগর
টেকসই নগর উন্নয়নের অন্যতম পূর্বশর্ত সড়কে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা। আর তা নিশ্চিত করতে দ্রুতগতিতে কাজ করে যাচ্ছে ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশন (মসিক)।
মসিক তার মহানগর আলোকিত করতে সড়কবাতি স্থাপনে হাতে নিয়েছে ৪৯ কোটি টাকার একটি প্রকল্প। মসিকের ৩৩টি ওয়ার্ডে ১৭১ কিলোমিটার সড়কে জিআই পোলের ওপর স্থাপন করা হচ্ছে এলইডি বা সিএফএল বাতি ও সোলার লাইট।
এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে মহানগরীর সড়কে আলো নিশ্চিত হওয়ার পাশাপাশি রাত্রীকালীন চলাফেরায় নগরবাসী পাবে স্বাচ্ছন্দ্য এবং কমে আসবে সড়কে নৈশকালীন অপরাধ।
ময়মনসিংহ সড়ক আলোকিতকরণ প্রকল্পে ইউরোপিয়ান স্ট্যান্ডার্ডে ছয় হাজার ৬৭৩টি বাতিসহ ৩০ ফুট উঁচু জিআই পোল, ৩৬৬টি সোলার সড়ক লাইট স্থাপন কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।
এ ছাড়া আলো সরবরাহে সিটি করপোরেশনের সক্ষমতা বাড়াতে একটি হাইড্রলিক এস্কাভেটর এবং একটি বুম লিফটার ক্রয় করা হবে।
এ প্রকল্পের আওতায় জয়নুল আবেদীন পার্ক, শম্ভুগঞ্জ সেতুসহ বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত হবে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি। এর ফলে আলোকিত সড়কে আসবে নান্দনিকতা। এতে সিটি করপোরেশনের ইতিবাচক কর্মপরিকল্পনার সফলতার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নগরবাসী।
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ কামাল আকন্দ বলেন, ‘আলোহীন সড়কে এবং এর আশপাশেন স্থানে অপরাধীরা নানা অপরাধ কর্মকাণ্ড করে থাকে। মসিক সড়কবাতি স্থাপনের ফলে অবশ্যই চুরি ও ছিনতাইয়ের মতো অপরাধগুলো কমে আসবে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হবে।’
এ বিষয়ে মসিক মেয়র মো. ইকরামুল হক টিটু বলেন, ‘টেকসই ও আধুনিক নগরী গড়ার পথে নগর আলোকিতকরণ প্রকল্প আমাদের অনেক দূর নিয়ে যাবে। নগরীর ১৭১ কিলোমিটার সড়কে আধুনিক এলইডি সড়কবাতি স্থাপন সম্পন্ন হলে নগরবাসী দৃশ্যমান পরিবর্তনের সুফল অনুভব করতে পারবে। আমরা অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছি। এতে কোথাও কোনো অনিয়ম হলে তা কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’
জনবান্ধব নানা কর্মসম্পাদনের মাধ্যমে মসিকের সেবাকে আমরা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে চাই। মসিকের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী আমাদের প্রতি আস্থা রেখেছেন। কর্মের মাধ্যমে আমরা তাঁর সে আস্থার মর্যাদা রক্ষা করতে চাই।- বলেন মসিক মেয়র ইকরামুল হক টিটু।
এ পর্যন্ত প্রকল্পের অগ্রগতি প্রায় ৫০ ভাগ। চলতি বছরের ডিসেম্বর নাগাদ প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা বাড়িয়ে ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সড়কবাতি প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার পর দুই বছর পর্যন্ত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সব বাতি প্রতিস্থাপন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করবে।