হাসপাতালে খালেদা জিয়া
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৩টা ৩৯ মিনিটে গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে বের হয়ে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হন তিনি।
খালেদা জিয়ার চিকিৎসক ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, ‘কয়েকদিন ধরে ম্যাডামের (খালেদা জিয়া) শারীরিক অবস্থা ভালো না। উনার শরীরের তাপমাত্রাও বেশি। তাই বেশ কিছু শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য উনাকে আজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। সেখানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড উনার সব কিছু পর্যালোচনা করবেন। বোর্ড তাঁকে দেখবেন। এরপর জানানো হবে ম্যাডামের সর্বশেষ অবস্থা।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, ‘ম্যাডামকে হাসপাতালে নেওয়ার আগে তাঁর সঙ্গে দেখা করে গেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি ফিরোজায় কিছু সময় থেকে ম্যাডামের শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিয়ে গেছেন।’
গত ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার করোনার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। শুরুতে গুলশানের বাসভবন ফিরোজার দ্বিতীয় তলায় একটি রুমে চিকিৎসা চলছিল বিএনপি চেয়ারপারসনের। ১৫ এপ্রিল এভারকেয়ার হাসপাতালে সিটি স্ক্যান করানো হয় তাঁর। এরপর ফিরিয়ে আনা হয় গুলশানের বাসভবনে। অবস্থার অবনতি হলে ২৭ এপ্রিল একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয় বিএনপি প্রধানকে।
৩ মে শ্বাসকষ্ট অনুভব করলে খালেদা জিয়াকে কেবিন থেকে সিসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। বিএনপি থেকে খালেদা জিয়ার করোনামুক্তির খবর দেয়া হয় ৯ মে। তবে সিসিইউতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ জ্বরে আক্রান্ত হন খালেদা জিয়া। ৩ জুন চিকিৎসকদের পরামর্শে তাঁকে কেবিন ফিরিয়ে আনা হয়। ১৯ জুন বাসায় ফেরেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী।