১২ বছরের উন্নয়ন রূপকথাকেও হার মানায় : অর্থমন্ত্রী
জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গত ১২ বছরে বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নয়ন-অগ্রগতি রূপকথাকেও হার মানায়। এত অল্প সময়ে এত অগ্রগতি বাংলাদেশকে বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত করেছে।
আজ সোমবার ছিল রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনার দশম দিন।
গত ১৮ জানুয়ারি বছরের প্রথম অধিবেশনের প্রথম দিন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ জাতীয় সংসদে ভাষণ দেন। গত ১৯ জানুয়ারি চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর ধন্যবাদ প্রস্তাব উত্থাপন করলে সরকারি দলের সদস্য উপাধ্যক্ষ আবদুস শহীদ এ প্রস্তাব সমর্থন করেন।
আজ স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বৈঠকের শুরুতে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা উত্তর টেবিলে উপস্থাপন ও ৭১ বিধিতে নোটিশের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। এর পর আইন প্রণয়ন কার্যাবলী শেষে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আলোচনা শুরু হয়।
আজ আলোচনায় অংশ নেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল, হুইপ আবু সাইদ আল মাহমুদ স্বপন, বিরোধী দলের চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙা, সরকারি দলের সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, আবদুল মজিদ খান, নুরুজ্জামান বিশ্বাস, মোজাফফর হোসেন, কানিজ সুলতানা, জাতীয় পার্টির আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, বিএনপির হারুনুর রশীদ ও ওয়ার্কার্স পার্টির ফজলে হোসেন বাদশা।
আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, রাষ্ট্রপতি তাঁর ভাষণে গত এক যুগে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে জাতীয় উন্নয়নে অর্জিত অভূতপূর্ব সাফল্যের চিত্র তুলে ধরার সঙ্গে সঙ্গে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা তুলে ধরেছেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী পালন ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের এ বছরই সব ঠিক থাকলে বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হবে।
মুস্তফা কামাল বলেন, বৈশ্বিক মহামারি করোনার এ সময় বিশ্ব অর্থনীতিতে সার্বজনীন মহামন্দা চলছে। এ সময়েও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক ও দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্থনীতি সঠিক পথে এগিয়ে চলছে। করোনাকালে অর্থনীতির চাকা সচল ও সাধারণ মানুষের জীবনমান স্বাভাবিক রাখতে তিনি এক লাখ ২৫ হাজার কোটি টাকারও বেশি প্রণোদনা দিয়েছেন। এতে অর্থনীতি যেমনি আবার ঘুরে দাঁড়ানো শুরু করেছে, তেমনি দেশের মানুষের জীবনযাত্রাও স্বাভাবিক রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, করোনার গভীর ক্ষতে বিশ্বের প্রায় সব দেশেরই জিডিপি সংকুচিত হয়েছে। আর জিডিপির প্রবৃদ্ধির দিক থেকে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে শীর্ষে এবং বিশ্বে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ সময়ে দেশের পুঁজিবাজারে পুঁজি শতকরা ২৭ ভাগ বেড়েছে। প্রবাস আয় বেড়েছে ৪৩ ভাগ।
আ হ ম মুস্তফা কামাল করোনাপূর্ব সময়ে বর্তমান সরকারের এক যুগে দেশের আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে দেশের এক অনন্য উচ্চতায় উত্তরণের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার কিংবদন্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে সব ক্ষেত্রেই এ উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদ্মা সেতু, কর্ণফুলি বঙ্গবন্ধু ট্যানেল, মাতারবাড়ি বিদ্যুৎ কেন্দ্র, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রসহ বিভিন্ন মেগা প্রকল্পের উল্লেখ করেন। এছাড়া নারীর ক্ষমতায়নসহ বিভিন্ন আর্থ-সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের ঊর্ধ্বগতির কথা তুলে ধরেন।