১৮ বছরের নিচের কেউ টিকা পাবে না : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, আমাদের জনসংখ্যার প্রায় ৪০ ভাগের বয়স ১৮ বছরের নিচে। তাদের কারোরই করোনার টিকার প্রয়োজন হবে না। পৃথিবীর কোনো দেশই ১৮ বছর বয়সের কম বয়সীদের টিকা দিবে না। এদের ট্রায়ালও দেওয়া হয়নি বলে জানান তিনি।
আজ রোববার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের ন্যাশনাল কন্ট্রোল ল্যাবরেটরিতে ভ্যাকসিন ল্যাব পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। এ সময় মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের জনসংখ্যার ২০ শতাংশ মানুষ কোভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবে। এ সংখ্যাটি প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি। আগামী জুন মাসের মধ্যে এদের সবারই টিকা দেশে আসবে বলে আশা করছি। এ বিষয়ে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, আমাদের ওষুধের ল্যাবটি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) অনুমোদন দিয়েছে। ফলে আমাদের ল্যাব আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পেল। এখানে আমাদের যত ওষুধ কোম্পানি আছে সেই ওষুধের মান প্রতিনিয়ত পরীক্ষা করা হয় এবং সে মান বজায় রাখার জন্য যা যা করা প্রয়োজন, তা করা হয়। আগামীতে এই ল্যাবরেটরিতে কোভিড ভ্যাকসিনও পরীক্ষা করা হবে বলে জানান তিনি।
অপর এক প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে অক্সফোর্ডের অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নিয়ে চুক্তি হয়েছে। আশা করছি, জানুয়ারির শেষের দিকে অথবা ফেব্রুয়ারির প্রথম দিকে বাংলাদেশ ভ্যাকসিন পাবে। যখনই অ্যাস্ট্রাজেনেকা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন পাবে, তখনই বাংলাদেশ সেই ভ্যাকসিন পাবে। একইসঙ্গে দেশের ভেতরে ভ্যাকসিন সম্পর্কিত সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
জাহিদ মালেক আরো বলেন, ভ্যাকসিন পরিবহন ব্যবস্থা, স্টোরেজ সিস্টেম, কোল্ড চেইন মেইনটেন্যান্সের জন্য কোল্ড বক্সের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দেশে বর্তমানে নয়টি টিকা দেওয়া হয়। সেসব টিকার পরীক্ষা হয় এই ল্যাবে। নয়টি ভ্যাকসিনের সঙ্গে কয়েকদিনের মধ্যে যোগ হচ্ছে করোনার টিকা।