২২ নভেম্বর সারা দেশে বিএনপির প্রতিবাদ সমাবেশ
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তাঁকে বিদেশে নিয়ে চিকিৎসার সুযোগ দেওয়ার দাবিতে আগামী ২২ নভেম্বর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এবং সারা দেশে জেলা, মহানগর ও উপজেলায় সমাবেশ করবে দলটি। তার পরও দাবি মানা না হলে বিএনপির আন্দোলন চলবে।
আজ শনিবার রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশের উন্নত চিকিৎসার দাবিতে গণঅনশন কর্মসূচিতে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান।
সমাপনী বক্তব্যে বিএনপির মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় নেতা খালেদা জিয়া, যিনি ৩৫ বছরের বেশি সময় এ দেশের মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। যিনি সারা জীবন দেশের মানুষের কথা ভেবেছেন, নিজের কোনো কিছুর কথা ভাবেননি। স্বামী, সন্তান হারিয়েছেন তাও জনগণের কাতারে দাঁড়িয়েছেন। তিনি চারণ কবির মতো এ দেশের গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে হেঁটে বেড়িয়েছেন। এ দেশের কথা বলার স্বাধীনতা, গণতন্ত্রের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দিয়েছেন, যাকে এ দেশের মানুষ গণতন্ত্রের মাতা বলে জানি।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, এই আওয়ামী লীগ সরকার বেআইনিভাবে খালেদা জিয়াকে কারাগারে আটকে রেখেছে। যাতে তাদের অবৈধ ক্ষমতা ধরে রাখতে পারে। কারণ তারা জানে খালেদা জিয়া বাইরে থাকলে এ দেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেউ কেড়ে নিতে পারবে না।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, এ সরকার একে একে এদেশের মানুষের সমস্ত অধিকার কেড়ে নিয়েছে। তারা এদেশের ৩৫ লক্ষ নিরীহ মানুষের নামে মামলা করেছে। আমাদের অসংখ্য নেতাকর্মীকে গুম, খুন করেছে।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া আজ এত অসুস্থ, তিনি আজ জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে আছেন। ডাক্তাররা বলছেন, তাঁকে এখানে যা যা সম্ভব সব চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখানে আর সম্ভব নয়। তাঁকে বিদেশে অ্যাডভান্স সেন্টারে উন্নত চিকিৎসা দেওয়া ছাড়া সুস্থ করে তোলা সম্ভব নয়। আমরা আজ সরকারকে স্পষ্ট করে বলে দিতে চাই, অবিলম্বে খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার সুযোগ দিন। না হলে আজকের গণঅনশন থেকে শুরু হওয়া গণআন্দোলন আপনাকে গতিচ্যুত করবে। কারণ এটা আমাদের জীবন মরণের প্রশ্ন। তাই আসুন শপথ করি, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশে চিকিৎসার সুযোগ আদায় ও মুক্ত না করে ঘরে ফিরে যাব না।
বক্তব্যের মধ্যে স্লোগান দেওয়া শুরু হলে মহাসচিব বলেন, তোমরা স্লোগান দিতে থাকো, আমি চুপ করে থাকি।