৩০ মার্চ খুলছে দেশের সব স্কুল-কলেজ
করোনা মহামারির কারণে দীর্ঘ এক বছরের বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকার পর আগামী ৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তবে সেদিন প্রাক-প্রাথমিক শাখা খুলবে না। সেটি কবে খুলবে তা পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যার পর সচিবালয়ে আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাতে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এ তথ্য সাংবাদিকদের জানান।
গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে। এরপর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে আগামীকাল ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
বিরাজমান পরিস্থিতিতে আজ সন্ধ্যায় সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তমন্ত্রণালয় বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বৈঠকে কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন, মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম, জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মো. আবদুল মান্নান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. আমিনুল ইসলাম খান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কামাল হোসেন, পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলমসহ কমিটির সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা অংশ নেন।
৩০ মার্চ থেকে স্কুল-কলেজ খুললেও প্রথমে সবাই একসঙ্গে আসবে না- এমন সিদ্ধান্ত জানিয়ে সভা শেষে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘সেখানে আমরা আগেও যেভাবে বলেছি যে, হয়ত পর্যায়ক্রমে, একদম প্রথমে প্রাথমিকে যারা পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত, তারা হয়ত প্রতিদিনই আসবেন এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকে দশম ও দ্বাদশ প্রতিদিন আনব। বাকিগুলো হয়ত প্রথমে সপ্তাহে একদিন আসবে, তারপর থেকে সপ্তাহে দুইদিন করে আসবে। তারপর পর্যায়ক্রমে আমরা স্বাভাবিকের দিকে নিয়ে যাব।’
এরই মধ্যে সব শিক্ষক-কর্মচারীকে করোনার টিকাদান নিশ্চিত করা হবে বলেও জানান ডা. দীপু মনি। তিনি আরও জানান, এই সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন হবে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার পরও ছাত্র-শিক্ষক-কর্মচারী সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, খোলার পরে এসএসসির ক্ষেত্রে ৬০ কর্মদিবসের সিলেবাস সম্পন্ন হবে। তার পরে আরো হয়তো এক-দুই সপ্তাহ সময় দেওয়া হবে প্রস্তুতির জন্য। তারপরে এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হবে। এইচএসসির ক্ষেত্রে ৮০ কর্মদিবসের সিলেবাস সম্পন্ন হবে। তারপর প্রস্তুতির সময় দিয়ে এইচএসসি পরীক্ষা হবে।
মন্ত্রী জানান, ঈদের ছুটি, সাপ্তাহিক ছুটি সব মিলিয়ে হয়তো আগামী জুলাই মাসে এসএসসি ও এইচএসসির পরীক্ষা শুরু হবে।
বন্ধের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এবার রোজার ছুটি থাকছে না জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘রোজার পুরো সময়ে ছুটি থাকবে না। এমনিতেই অনেক সময় চলে গেছে। আমরাও ছোটবেলায় দেখেছি শুধু ঈদের সময় ছুটি থাকত। এবারও আমরা তেমনটা করতে চাই।’