নব্য জেএমবির অন্য সদস্যরাও নজরদারিতে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, ‘মারজান ও সাদ্দামকে আমরা খুঁজছিলাম। আমরা মনে করি, মারজান ও সাদ্দাম নিহত হওয়ার পর জঙ্গিরা অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হবে। নব্য জেএমবির অন্য সদস্যরাও এখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আছে।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
এ সময় আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, ‘উত্তরবঙ্গের সকল কিলিংয়ের (হত্যা) সঙ্গে সাদ্দাম জড়িত। সে উত্তরবঙ্গের দুর্ধর্ষ জঙ্গি। আর মারজান হলো সমস্ত পরিকল্পনাকারীদের একজন। সে (মারজান) উঁচু পর্যায়ে সন্ত্রাসীদের নেতৃত্ব দিত। আর মারজান ছিল নব্য জেএমবির বর্তমানে বেঁচে থাকা নেতাদের অন্যতম।’
কাউন্টার টেররিজম ইউনিট থেকে জানানো হয়, অন্যতম শীর্ষ এই দুই জঙ্গিকে ধরতে গতকাল রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বেড়িবাঁধ এলাকায় অভিযান চালানো হয়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের সদস্যদের ওপর বোমা ছুড়ে পালানোর চেষ্টা করেন মারজান ও তাঁর সহযোগী সাদ্দাম। এরপর পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে তাঁরা গুলিবিদ্ধ হন। পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন। সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে গিয়ে দুজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।
মারজানের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার হেমায়েতপুর ইউনিয়নের আফুরিয়া গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি বিভাগের ছাত্র ছিলেন। পরিবার থেকে জানানো হয়, গত বছরের জানুয়ারিতে বিয়ে করেন মারজান। এরপর স্ত্রীকে নিয়ে নিখোঁজ হন তিনি। গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গি আস্তানায় পুলিশের অভিযানে গ্রেপ্তার হন মারজানের স্ত্রী আরেফিন প্রিয়তি। তাঁর সঙ্গে নব্য জেএমবির নেতা তামিম চৌধুরী ও অন্যদের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল।