পাহাড়ি ঢলে কুড়িগ্রামে তলিয়ে গেছে জমির ধান
পাহাড়ি ঢল ও গত তিনদিনের প্রবল বর্ষণে কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালোনদীর দুই পারের প্রায় ২০০ হেক্টর জমির বোরো ধান তলিয়ে গেছে। হঠাৎ পানি বৃদ্ধিতে খেতের পাকা ধান তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা।
কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢল অব্যাহত থাকায় বড়াইবাড়ী, চুলিয়ারচর, ঝাউবাড়ী, বারবান্দা, উত্তর বারবান্দা, দক্ষিণ বারবান্দা, কালোচর, চর ইজলামারী, বকবান্দা, খেওয়ারচর, আলগারচর, উত্তর আলগারচর, লালকুড়া গ্রামের নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকে পড়ায় তলিয়ে যায় এসব এলাকার পাকা ও আধাপাকা বোরো ধান ও মৌসুমি সবজির ক্ষেত।
রৌমারী উপজেলার ঝাউবাড়ী গ্রামের কৃষক গফুর জানান, বৃষ্টি ও ভারতের পাহাড়ি ঢলে শত শত হেক্টর জমির পাকা ধানের ক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় প্রয়োজনীয় শ্রমিক না পাওয়ায় নিজেরাই ধান কেটে ঘরে তোলার চেষ্টা করছেন তাঁরা।
বড়াইবাড়ী গ্রামের আবদুল মালেক জানান, জিঞ্জিরাম নদীর দুই পারে শত শত একর জমির ধান পানির নিচে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে এসব ধান ঘরে তোলা সম্ভব হতো। এরই মধ্যে পাহাড়ি ঢলের পানি এসে সব তলিয়ে যায়। দ্রুত পানি সরে না গেলে অনেক ধানক্ষেত নষ্ট হয়ে যাবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
এ ব্যাপারে রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আজিজুল হক জানান, বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে রৌমারী উপজেলার সীমান্তঘেঁষা জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালোনদীর দুই পারে ধানক্ষেতগুলো তলিয়ে গেছে। এ অবস্থায় তাঁরা কৃষকদের পানিতে থাকা এসব ধান দ্রুত কেটে ঘরে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, উজানে প্রবল বৃষ্টিপাত হওয়ায় জিঞ্জিরাম, ধরনী ও কালোনদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীর দুই তীরের ফসল তলিয়ে গেছে। তবে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়নি বলেও জানান তিনি।