আজকে বাবার আত্মার শান্তি হবে : নিহত চন্দনের মেয়ে
নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের দুই মামলায় প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের কর্মকর্তা তারেক সাঈদসহ মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে। এ রায় দ্রুত কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন নিহত চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার।
আজ সোমবার নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
রায় প্রকাশের পর নিহত চন্দন সরকারের মেয়ে ডা. সুস্মিতা সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘রায়ে আমরা সন্তুষ্ট। আজকে বাবার আত্মার শান্তি হবে, আমরা আশা করি। রায় যেন দ্রুত কার্যকর হয় আমরা সেই আশায় আছি।’
২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল নারায়ণগঞ্জ-ঢাকা লিংক রোডের খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামের পাশ থেকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র নজরুল ইসলাম, তাঁর সহযোগী সিরাজুল ইসলাম লিটন, মনিরুজ্জামান স্বপন, তাজুল ইসলাম ও গাড়িচালক জাহাঙ্গীর আলম এবং নারায়ণগঞ্জের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী চন্দন কুমার সরকার ও তাঁর গাড়িচালক ইব্রাহিমকে অপহরণ করে র্যাব-১১। পরে ৩০ এপ্রিল শীতলক্ষ্যা নদী থেকে ছয়জনের এবং ১ মে একজনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ঘটনায় নিহত কাউন্সিলর নজরুলের স্ত্রী সেলিনা ইসলাম বিউটি এবং চন্দন সরকারের জামাতা বিজয় কুমার পাল পৃথক দুটি মামলা করেন। দীর্ঘ তদন্ত ও শুনানি শেষে আজ এ দুটি মামলার রায় ঘোষণা করা হয়।
রায়ে মোট ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। বাকি নয় আসামিদের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত। এ দুই মামলার মোট ২৩ আসামি কারাগারে আছেন। পলাতক আছেন ১২ জন।