রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি
নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঁচজন করে নাম চেয়েছে সার্চ কমিটি।
আজ শনিবার সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে ইসি গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির প্রথম বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানিয়েছেন কমিটির সাচিবিক দায়িত্বে থাকা মন্ত্রিপরিষদসচিব মো. শফিউল আলম।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, আগামী সোমবার বিকেল চারটায় ১২ জন বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত নেবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বেলা ১১টার আগ থেকে একে একে সুপ্রিম কোর্টে আসতে থাকেন ইসি গঠনে গঠিত সার্চ কমিটির সদস্যরা। দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয় দেশের ১২ বিশিষ্ট নাগরিকের মতামত নেওয়ার। তাঁরা হলেন বিচারপতি আবদুর রশীদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য এ কে আজাদ চৌধুরী, অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক সাবেক উপাচার্য এস এম এ ফায়েজ, আইনজীবী সুলতানা কামাল, সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ টি এম শামসুল হুদা, সাবেক নির্বাচন কমিশনার ছহুল হোসাইন ও অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাখাওয়াত হোসেন, স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ তোফায়েল আহমদ, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) নুরুল হুদা।
এর আগে সার্চ কমিটির সদস্য ও আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন। এতে উপস্থিত ছিলেন সার্চ কমিটির অপর সদস্য সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মাসুদ আহমেদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
নতুন ইসি গঠন নিয়ে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসার উদ্যোগের অংশ হিসেবে গত বছরের ১৮ ডিসেম্বর বিএনপির সঙ্গে প্রথম আনুষ্ঠানিক বৈঠক করেন।
এরপর রাষ্ট্রপতি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি (জাপা), বিএনপিসহ ৩১টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
এসব বৈঠকের পর গত ২৫ জানুয়ারি সার্চ কমিটির বিষয়ে একটি চিঠি বঙ্গভবন থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে পাঠানো হয়।
২০১২ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান ২৪টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শেষে চার সদস্যের একটি সার্চ কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটিই বর্তমান প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী রকিবউদ্দীন আহমেদের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন গঠন করে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এই কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হচ্ছে।