শেষ বৈঠকে সার্চ কমিটি
প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনারদের নাম প্রস্তাবের জন্য গঠিত সার্চ কমিটি তাদের শেষ বৈঠকে বসেছে।
আজ সোমবার বিকেল ৪টার দিকে সার্চ কমিটির ছয় সদস্য সুপ্রিম কোর্টের জাজেস লাউঞ্জে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে সভাপতিত্ব করছেন কমিটির প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুর রহমান, মহাহিসাব নিরীক্ষক মাসুদ আহমেদ, সরকারি কর্মকমিশনে (পিএসসি) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাদিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম এবং চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য শিরীণ আখতার।
এই বৈঠক থেকে বেরিয়েই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করতে যাবেন সার্চ কমিটির সদস্যরা। রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন বিষয়টি জানিয়েছেন।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদের মেয়াদ শেষ হওয়ার দুদিন আগে কমিটি রাষ্ট্রপতির কাছে ১০টি নাম প্রস্তাব করবে বলে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
গত ২৫ জানুয়ারি ছয় সদস্যের এই অনুসন্ধান দল গঠন করে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে সুপারিশ জমা দিতে বলা হয়। প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও চার নির্বাচন কমিশনার পদের জন্য এ কমিটি মোট ১০টি নাম প্রস্তাব করবে। আগামীকালই শেষ হচ্ছে এই সময়সীমা। আর তার আগের দিন সন্ধ্যায় বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে সময় নিয়েছে সার্চ কমিটি।
পাঁচ সদস্যের নির্বাচন কমিশনে এবার প্রথমবারের মতো নিয়োগ পেতে যাচ্ছেন একজন নারী। সার্চ কমিটি গঠন করে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বিষয়ে সুপারিশ করতে বলা হয়। ফলে সার্চ কমিটি আটজন পুরুষ ও দুজন নারীর নাম সুপারিশ করতে যাচ্ছে।
বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি নিজেদের মধ্যে তিন দফা বৈঠক ছাড়াও প্রথমে ১২ বিশিষ্ট ব্যক্তি এবং পরে আরো চারজনের সঙ্গে বৈঠক করেছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে অংশ নেওয়া ৩১টি দলের মধ্যে ২৬টি দলের কাছ থেকে পাঁচটি করে নাম জমা নিয়েছে তারা। বাকি দলগুলোর চারটি সার্চ কমিটিতে নাম দেয়নি আর একটি দল নির্ধারিত সময়ের পর নাম জমা দেওয়ায় তা গ্রহণযোগ্য হয়নি।
রাজনৈতিক দলগুলোর কাছ থেকে পাওয়া ১৩০টি নামের মধ্য থেকে ২০টি নাম নিয়ে একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা করে সার্চ কমিটি নিজেদের মধ্যে সর্বশেষ বৈঠকে বসে গত বৃহস্পতিবার।
নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ নিয়ে গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত মোট ৩১টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। আর এই সংলাপ শেষ হওয়ার এক সপ্তাহ পর গঠন করা হয় সার্চ কমিটি।
২০১২ সালেও বর্তমান নির্বাচন কমিশন নিয়োগ দেওয়ার আগে সে সময়ের রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমান একই প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ দিয়েছিলেন।