হাইকোর্টে তারেক সাঈদের খালাসের আবেদন গ্রহণ
নারায়ণগঞ্জে সাত খুনের মামলার ফাঁসির আসামি ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-১১-এর চাকরিচ্যুত লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদের খালাসের আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট।
আজ রোববার বিচারপতি আবু বকর সিদ্দিক ও বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলামের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আপিল শুনানির জন্য অনুমতি দেন।
আদালতে তারেক সাঈদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফজলুল হক খান ফরিদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান রুবেল।
গত ৩১ জানুয়ারি ফাঁসির দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে আপিল করেন তারেক সাঈদ। এর আগে ৮ ফেব্রুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আলোচিত সাত খুনের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া দুই আসামি নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের (নাসিক) সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর নূর হোসেন ও র্যাব কর্মকর্তা আরিফ হোসেনসহ ১৬ জনের করা আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। ফাঁসির দণ্ডাদেশ থেকে খালাস চেয়ে আবেদন করেন তাঁরা।
গত ২২ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সাত খুন মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে আসে। পরে প্রধান বিচারপতি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে এ মামলার পেপারবুক প্রস্তুতের নির্দেশনা দেন।
গত ১৬ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর সাত খুনের মামলার রায় দেন নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ সৈয়দ এনায়েত হোসেন। মামলার প্রধান আসামি নূর হোসেন ও র্যাবের বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ, মেজর আরিফ হোসেন, লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মাসুদ রানাসহ ২৬ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেন আদালত। এ মামলার ৩৫ আসামির মধ্যে বাকি নয়জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সাজাপ্রাপ্ত ৩৫ আসামির মধ্যে ১০ জন পলাতক। সর্বশেষ মাগুরায় একজনকে গ্রেপ্তার এবং একজন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।
গত ২২ জানুয়ারি এই মামলার ডেথ রেফারেন্সের কপি হাইকোর্টে যায়। নারায়ণগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ আদালতের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রায়ের কপি, জুডিশিয়াল রেকর্ড, সিডিসহ বিভিন্ন নথি সংশ্লিষ্ট হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় জমা দেন। পরে এই মামলার ডেথ রেফারেন্স শুনানির জন্য ২৯ জানুয়ারি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পেপারবুক তৈরির নির্দেশ দেন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এস কে) সিনহা।