আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু
ছাত্রলীগের বহিষ্কৃত নেতা বদরুল আলমের কোপে আহত কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়েছে সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে ।
আজ রোববার বেলা পৌনে ১১টার দিকে আদালত চত্বরে পৌঁছান খাদিজা। পরে সাড়ে ১১টার পর তাঁর সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হয়।
খাদিজার ওপর হামলা মামলার আসামি বদরুল আলমকেও আজ আদালতে হাজির করা হয়েছে। এ ছাড়া খাদিজার বাবা মাসুক মিয়াও আছেন আদালতে।
এর আগেও খাদিজাকে সাক্ষী দেওয়ার জন্য আদালতে আসতে বলা হয়। তবে চিকিৎসকের ছাড়পত্র না পাওয়ায় আদালতে উপস্থিত হতে পারেননি তিনি।
আদালতে সরকারপক্ষের অতিরিক্ত কৌঁসুলি মাহফুজুর রহমান জানান, আজ সিলেট মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালতে খাদিজার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। খাদিজা হত্যাচেষ্টা মামলায় আজই সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হবে।
ঢাকায় দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে গত শুক্রবার সুস্থ হয়ে নিজ বাড়িতে ফেরেন সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস।
গত বছরের ৩ অক্টোবর সিলেটের এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমের চাপাতির কোপে গুরুতর আহত হন খাদিজা। এর পর আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে বেশ কয়েক দিন জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থেকে বিস্ময়করভাবে সুস্থ হতে থাকেন খাদিজা। এর পর খাদিজাকে সাভারের পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) চিকিৎসা দেওয়া হয়।
খাদিজাকে কোপানোর ঘটনায় শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ নেতা বদরুল আলমকে হাতেনাতে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে তুলে দেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এ ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে যে মামলা করেন, তাতে একমাত্র আসামি করা হয় বদরুল আলমকে। ৫ অক্টোবর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন বদরুল।
গত বছরের ৮ নভেম্বর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নগরীর শাহপরাণ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুনুর রশীদ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৫ নভেম্বর আদালত অভিযোগপত্র করেন।
২৯ নভেম্বর আদালত বদরুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন। পরে ৫, ১১ ও ১৫ ডিসেম্বর আদালতে সাক্ষ্য দেন ৩৩ জন।