পাইপে পড়ে শিশু নিহত : চারজনের ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ
রাজধানীর শাহজাহানপুরে রেলওয়ের পরিত্যক্ত পানির পাম্পের পাইপে পড়ে শিশু জিহাদ (৩) নিহত হওয়ার মামলায় চারজনের ১০ বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁদের দুই লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে এক বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এই দণ্ডাদেশ দেন।
দণ্ডাদেশ পাওয়া চারজন হলেন রেলওয়ের জ্যেষ্ঠ উপসহকারী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স এসআর হাউসের মালিক মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে আবদুস সালাম, কমলাপুর রেলওয়ের সহকারী প্রকৌশলী মো. নাসির উদ্দিন ও ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার জাফর আহমেদ সাকি।
মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) দীপক কুমার ভৌমিক ও সহকারী প্রকৌশলী-২ মো. সাইফুল ইসলাম।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি ড. মো. আখতারুজ্জামান যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায়ের দিন ধার্য করেন। এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে ১১ জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়। মামলার আসামিদের সবাই জামিনে ছিলেন।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৬ ডিসেম্বর বিকেল ৩টার দিকে জিহাদ পাইপে পড়ে যায়। পরে গণমাধ্যমে খবর ছড়িয়ে পড়লে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। রাতভর ফায়ার সার্ভিস তাদের উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে ব্যর্থ হয়।
পরের দিন দুপুরে ফায়ার সার্ভিসের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আলী আহমেদ খান শিশুটি পাইপে নেই বলে ঘোষণা দিয়ে উদ্ধার অভিযান স্থগিত করেন। এর পর শিশুটিকে উদ্ধারে কাজ করেন মজিদ, লিটু ও আনোয়ার নামের তিন ব্যক্তি। তাঁদের তৈরি একটি ক্যাচারের মাধ্যমে জিহাদকে টেনে তোলা হয়।
ওই ঘটনায় জিহাদের বাবা নাসির উদ্দিন ফকির ২০১৪ সালের ২৭ ডিসেম্বর একটি মামলা করেন। পরে গত বছরের ৩১ মার্চ ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের (সিএমএম) আদালতে ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ। অভিযোগপত্র দাখিলের পর মামলাটি বিচারের জন্য বিশেষ জজ আদালতে বদলি হয়ে আসে।
গত বছরের ৪ অক্টোবর ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে আনুষ্ঠানিকভাবে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।