সকাল থেকে সারা দেশে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক
দুই চালকের সাজার প্রতিবাদে আজ মঙ্গলবার সকাল থেকে সারা দেশে অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছেন পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা।
বাসচালক জমির হোসনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ট্রাকচালক মীর হোসেন মিরুর মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের প্রতিক্রিয়ায় অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতির কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সহসভাপতি আজিজুল আলম মন্টু।
সোমবার রাতে এ নিয়ে রাজধানীতে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের মধ্যে বৈঠক হয়।
বৈঠকের পর এনটিভিকে মোবাইলে শ্রমিকনেতা আজিজুল আলম বলেন, ‘একজন শ্রমিকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিবাদে শ্রমিকরা ধর্মঘট করছিলো। তারা গাড়ি চালাচ্ছিল না। হঠাৎ করেই আজকে আরেকটি সড়ক দুর্ঘটনায় ড্রাইভারের ফাঁসির রায় হওয়ায় আরও উত্তপ্ত পরিস্থিতি দেখা দেয় শ্রমিক সেক্টরে।’
‘এই পরিপ্রেক্ষিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, আগামীকাল ভোর ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য শ্রমিকরা কর্মবিরতি পালন করবে। এর নেতৃত্বে ছিলো সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি ও সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন কেন্দ্রীয় কমিটি’, যোগ করেন আজিজুল আলম।
এ দিকে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় পরিবহন ধর্মঘটের দ্বিতীয় দিনেও অচলাবস্থা অব্যাহত ছিলো।
সড়ক দুর্ঘটনায় চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহতের ঘটনায় বাসচালক জামির হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের প্রতিক্রিয়ায় রোববার থেকে ধর্মঘটের ডাক দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের খুলনা বিভাগীয় কমিটি।
সোমবার সকাল থেকেও খুলনা থেকে দূরপাল্লার কোনো বাস-ট্রাক ছেড়ে যায়নি। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন বিভিন্ন পথের যাত্রীরা।
ধর্মঘটের কারণে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে আটকে পড়েছে কয়েকশ পণ্যবাহী ট্রাক। পচনশীল পণ্য নিয়ে বিপাকে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা।
ধর্মঘটের কারণে যশোর, কুষ্টিয়া, মাগুরা, মেহেরপুর ও মোংলায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।
একই দাবিতে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বাসস্ট্যান্ড থেকে সোমবার ষষ্ঠ দিনের মতো দূরপাল্লার বা অভ্যন্তরীণ পথে কোনো যানবাহন ছেড়ে যায়নি।