আনসার ক্যাম্পে লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, কক্সবাজারের টেকনাফের নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরের আনসার ক্যাম্প থেকে লুট হওয়া সব অস্ত্র উদ্ধার এবং হামলার মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে অভিযান সম্পন্ন করেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
আজ বুধবার দুপুরে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার তুমব্রু সীমান্তের গহিন অরণ্যে ঘটনাস্থলে প্রেস ব্রিফিংকালে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
এ সময় র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ এবং বাংলাদেশ আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মিজানুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় রোহিঙ্গাদের মানবিক দিক বিবেচনা করে টেঙ্গারচরে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও জানান মন্ত্রী।
আজ সন্ধ্যায় উখিয়ার কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্প থেকে ঘটনার অন্যতম হোতা ও আনসার ক্যাম্প কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে হত্যাকারী রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলমকে আটক করে র্যাব-৭। এরপর তাকে নিয়ে বান্দরবানের গহিন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে আনসার ক্যাম্পের লুট হওয়া অস্ত্রের বাকি ছয়টি উদ্ধার করা হয়।
২০১৬ সালের ১২ মে কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার নয়াপাড়ায় রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে আনসার বাহিনীর শালবন ব্যারাকে গভীর রাতে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা হামলা চালিয়েছিল। এতে আনসার কমান্ডার পিসি আলী হোসেনকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছিল তারা। রোহিঙ্গারা ব্যারাক থেকে ১১টি অস্ত্র ও ৬৪০ রাউন্ড গুলি লুট করে নিয়ে যায়। বেশ কিছু অস্ত্র বান্দরবান জেলার ঘুমঘুম ইউনিয়নের তুমব্রু এলাকার গহিন অরণ্যে পাহাড়ের খাদে গর্ত করে লুকিয়ে রেখেছিল। আর কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পসহ বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে থেকেছিল ঘটনায় জড়িতরা।
ঘটনার পর পরই ২০১৬ সালের জুন মাসে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। দীর্ঘ সাত মাস পর গত ৯ জানুয়ারি রাতে ঘটনার অন্যতম ২ হোতা খাইরুল আমিন (বড়) ও মাস্টার আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। তাদের স্বীকারোক্তি মতে নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অভিযান চালিয়ে আরেকজনকে গ্রেপ্তার এবং লুট হওয়া পাঁচটি অস্ত্র উদ্ধার করে র্যাব।
অভিযানের পর গত ১০ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির গহিন অরণ্যে অস্ত্র উদ্ধারস্থলে যান র্যাবের মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ। ওই সময় তিনি বাকি ছয়টি অস্ত্র উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার করা হবে বলে ঘোষণা দিয়েছিলেন। এই ঘোষণার পর গতকাল মঙ্গলবার ঘটনার অন্যতম হোতা ও মূল হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। আর তাকে নিয়ে বান্দরবানের গহিন অরণ্যে রাতব্যাপী অভিযান চালিয়ে লুট হওয়া অস্ত্রের মধ্যে অবশিষ্ট ছয়টি অস্ত্রও উদ্ধার করতে সক্ষম হয় র্যাব।