খাদিজা হত্যাচেষ্টায় বদরুলের যাবজ্জীবন
সিলেটে কলেজছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিস হত্যাচেষ্টার মামলায় একমাত্র আসামি বদরুল আলমের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার সিলেট মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক আকবর হোসেন মৃধা এই দণ্ডাদেশ দেন।
জেলা দায়রা জজ আদালতের সরকারপক্ষের কৌঁসুলি (পিপি) মিসবাহ উদ্দিন সিরাজ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি জানান, গত রোববার মামলার যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আদালত রায়ের তারিখ ধার্য করেন। আজ আদালত বদরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।
পিপি আরো জানান, মামলায় ৩৭ সাক্ষীর মধ্যে ৩৪ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত। সাক্ষ্যপ্রমাণের মাধ্যমে বদরুল আলমের অপরাধ প্রমাণ করা সম্ভব হয়েছে।
গত ১ মার্চ সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম সাইফুজ্জামান হিরোর আদালত থেকে মামলাটি মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তর করা হয়। ওই আদালতে আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি প্রদানে সীমাবদ্ধতা থাকায় দায়রা জজ আদালতে আসে মামলাটি।
গত বছরের ৩ অক্টোবর এমসি কলেজের পুকুরপাড়ে সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের স্নাতক দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী খাদিজা আক্তার নার্গিসকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) অর্থনীতি বিভাগের ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক বদরুল আলম। ঘটনার পর পরই শিক্ষার্থীরা বদরুলকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেন।
হামলার ঘটনায় খাদিজার চাচা আবদুল কুদ্দুস বাদী হয়ে বদরুলকে একমাত্র আসামি করে মামলা করেন। এ মামলায় গত বছরের ৫ অক্টোবর বদরুল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাঁকে কারাগারে পাঠান আদালত।
ঘটনার পর শাবি ও ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করা হয় বদরুলকে। আর তাঁর কোপে আহত খাদিজা ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ও সাভারে অবস্থিত পক্ষাঘাতগ্রস্তদের পুনর্বাসন কেন্দ্রে (সিআরপি) দীর্ঘদিন চিকিৎসা নেন। সম্প্রতি সেখান থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি।