যুবলীগ চেয়ারম্যান মোহাম্মদ ওমর ফারুক চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার সরকারের অধীনে সব নির্বাচন স্বচ্ছ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হয়েছে। এ জন্য বিএনপি বিভিন্ন সিটি করপরেশনে জয়লাভ করতে সক্ষম হয়েছিল। ভবিষতেও শেখ হাসিনার  অধীনের  নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

আজ বুধবার দুপুরে মাগুরার নোমানী ময়দানে আওয়ামী লীগের এক প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে যুবলীগ চেয়ারম্যান এসব কথা বলেন। শেখ হাসিনা আগামী ২১ মার্চ মাগুরা স্টেডিয়ামে আওয়ামী লীগের মহাসমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে আজ মাগুরায় খুলনা বিভাগীয় এ বিশেষ প্রতিনিধি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

যুবলীগ চেয়ারম্যান বলেন, ‘সামরিক শাসক জিয়াউর রহমান নির্বাচনের বদলে হ্যাঁ, না ভোট দিয়েছিলেন। আরেক সামরিক শাসক এরশাদ মিডিয়া ক্যু করেছিলেন। খালেদা জিয়া সোয়া কোটি ভুয়া ভোটার বানিয়েছিলেন। ওই সব শাসকদের অধীনে নির্বাচন নিরাপদ ছিল না। অথচ শেখ হাসিনার সরকার আমার ভোট আমি দেব যাকে খুশি তাকে দেব এ স্লোগান দৃঢভাবে নিশ্চিত করেছেন।’

বাংলাদেশ এখন আর তলাবিহীন ঝুড়ি নয় উল্লেখ করে ওমর ফারুক চৌধুরী আরো বলেন, বাংলাদেশ এখন খাদ্য রপ্তানি করছে। কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, যোগাযোগ, বিদ্যুৎ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের সুযোগ-সুবিধায় এখন বাংলাদেশ অনেক এগিয়ে গেছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে পৌঁছেছে।

‘বাংলাদেশ এখন খাদ্য আমদানির দেশ নয়, খাদ্য রপ্তানির দেশ। বাংলাদেশের ফলমূল এখন বিশ্ববাজারে। আম  বিশ্বে এখন অষ্টম স্থান অধিকার করেছে। পেয়ারা সপ্তম স্থান অধিকার করেছে। শাক-সবজি এখন শুধু শীতকালীন ফসল নয়, বার মাস পাওয়া যায়’, যোগ করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান।

যুবলীগ খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক আসাদের সভাপতিত্বে ও মাগুরা জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক মো. ফজলুর রহমানের পরিচালনায় প্রতিনিধি সভায় আরো বক্তব্য দেন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. হারুনুর রশীদ, মাগুরা-১ আসনের সংসদ সদস্য মেজর জেনারেল (অব.) এ টি এম আব্দুল ওহহাব, যুবলীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ সৈয়দ সামসুল আবেদিন, মো. ফারুক হোসেন, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, মো. আতাউর রহমান, জাকির হোসেন খাঁন, যুগ্ম সম্পাদক সুব্রত পাল, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য কাজী আনিসুর রহমান, মিজানুর ইসলাম মিজু, আনোয়ার হোসেন, অ্যাডভোকেট কায়সার আহম্মেদ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, জাহাঙ্গীর আলম, কার্যনির্বাহী সদস্য রওশন জামির রানা, এন আই আহম্মেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় নেতা মনিরুল ইসলাম হাওলাদার, আশরাফুল ইসলাম দুলাল, ঢাকা মহানগর যুবলীগ উত্তর সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণ ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সোহারাব হোসেন স্বপন, মাগুরা জেলা যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক আলী আহম্মেদ আহাদ, অ্যাডভোকেট আশরাফ খান, সাকিবুল হাসান তুহিন, যশোর জেলা যুবলীগের সভাপতি মোস্তফা ফরিদ আহম্মেদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক ও যশোর পৌরসভার মেয়র জহিরুল ইসলাম রেন্টু চাকলাদার, খুলনা মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক আশরাফুল আলম পপলু, ঝিনাইদহ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আশফাক মাহমুদ জন, যুগ্ম- আহ্বায়ক রাজু আহম্মেদ, কুষ্টিয়া জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম প্রমুখ।