‘জঙ্গি আস্তানা’য় শিশুর লাশ, নিহত বেড়ে ৫
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড উপজেলার ‘জঙ্গি আস্তানা’ ছায়ানীড় ভবন থেকে শিশুর লাশ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে পাঁচটি লাশ উদ্ধার করা হলো।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিশুর লাশটি পাওয়া যায়। তবে পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশের ধারণা, নিহত চার জঙ্গির মধ্যে যে নারী ছিলেন, নিহত শিশুটি তাঁরই।
ছায়ানীড়ে এ মুহূর্তে বোমা নিষ্ক্রিয় করার কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। সেখানে রয়েছেন কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের অতিরিক্ত উপকমিশনার (এডিসি) সানোয়ার হোসেন। তিনি জানান, আস্তানায় বোমা বিশেষজ্ঞ জঙ্গিরা ছিলেন। তাদের কাছে শক্তিশালী বোমা ছিল। বড় ধরনের নাশতকার পরিকল্পনা ছিল এদের। বিকেলে বোমা নিষ্ক্রিয় করার সময় ভবনে আগুন ধরে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিস তা নিয়ন্ত্রণে আনে।
এডিসি সানোয়ার বলেছেন, নিহত জঙ্গিদের মূল লক্ষ্য ছিল পুলিশকে মারা এবং আত্মহত্যা করা।
এ ছাড়া ছায়ানীড় ভবন থেকে বিকেলে অচেতন অবস্থায় এক বৃদ্ধাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ নিয়ে ২১ জনকে উদ্ধার করা হলো।
গতকাল বিকেল থেকে কলেজ রোডের ছায়ানীড় ভবনে জঙ্গিবিরোধী অভিযান চালায় পুলিশ। এতে এক নারীসহ চারজন নিহত হন। আহত হন পুলিশের দুই সদস্যসহ কয়েকজন। ‘অ্যাসল্ট-১৬’ নামে অভিযানে আজ সকালে এসব হতাহতের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ দাবি করেছে, অভিযানে নিহত চারজনের পরিচয় জানা যায়নি। তবে তারা সবাই নব্য জেএমবির সদস্য ছিল।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, দুই তলাবিশিষ্ট ছায়ানীড় নামে বাড়িটিতে আটটি ফ্ল্যাট রয়েছে। জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টা থেকে বাড়িটি ঘিরে রাখেন পুলিশের কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট, সোয়াট ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) সদস্যরা। রাতে বাড়ি থেকে কিছুক্ষণ পরপর গুলিবর্ষণের শব্দ শোনা যায়।
চট্টগ্রাম রেঞ্জের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) শফিকুল ইসলাম জানান, আজ ভোর ৬টা থেকে আবার অভিযান শুরু হয়। এর পর থেকেই পুলিশ সদস্যরা বাইরে থেকে গুলিবর্ষণ করেন। এর একপর্যায়ে ভেতর থেকে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এ সময় পুরো এলাকা প্রকম্পিত হয়ে যায়। এই বিস্ফোরণে চার জঙ্গি নিহত হয়। সোয়াটের দুই সদস্যসহ তিনজন আহত হন। পরে একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁদের চট্টগ্রাম শহরের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়।