ভারতের সঙ্গে চুক্তির বিষয় মন্ত্রিপরিষদ জানে না : এলজিআরডি মন্ত্রী
ভারতের সঙ্গে কোনো চুক্তির বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদের কেউ কিছু জানে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী (এলজিআরডি) ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তাহলে এই চুক্তির বিষয়ে বিএনপি কীভাবে জানে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
আজ শনিবার দুপুরে মাদারীপুরের রাজৈর পৌরসভার নতুন ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। পৌর ভবনটি নির্মাণে ব্যয় হবে পাঁচ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খানকে পাশে রেখে এলজিআরডি মন্ত্রী বলেন, ‘কী চুক্তি সই হবে জানেন? এখন ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না। আমরাও তো জানি না, আমরা তো কেবিনেটে বসি। কী চুক্তি হবে আমরাও তো জানি না, ওরা জানল কেমনে যে কী চুক্তি সই হবে।’
খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘আমাদের জেনারেল সেক্রেটারি, আওয়ামী লীগের নেতারা সব সময় বলতেছেন যে কোনো চুক্তি যদি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী করেন জনগণের সমর্থন নেবে, জনগণ জানবে। কাজেই এইটা নিয়ে আগাম কথা বলে লাভ আছে? আমরা কি বলছি কোনো সময় যে ওমুক চুক্তি সই হবে। চুক্তি আসুক, চুক্তির সময় আসুক প্রধানমন্ত্রী বলবেন ভারতের সঙ্গে আমাদের কী চুক্তি হবে।’
জঙ্গিবাদ প্রসঙ্গে এলজিআরডিমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, ‘জঙ্গিবাদ যাঁরা লালন-পালন করেন, তাঁরাই সমর্থন করতে পারেন। কোনো মানুষ সুচিন্তা যারা করে তারা কি জঙ্গিবাদের পক্ষে কথা বলতে পারবে? আমরা জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করছি, তাতে বিএনপির এতটা অসুবিধা। তারাই জঙ্গিবাদের হোতা, জঙ্গিবাদ এরা লালন-পালন করে।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। এ ছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন এলজিইডির প্রধান প্রকৌশলী শ্যামাপ্রসাদ অধিকারী, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মিয়াজউদ্দিন খান, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান খান ও রাজৈর পৌরসভার মেয়র শামীম নেওয়াজ প্রমুখ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী ৭ এপ্রিল তিনদিনের রাষ্ট্রীয় সফরে ভারত যাচ্ছেন। এর আগে ২০১০ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে ভারতে গিয়েছিলেন তিনি।