জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে অহেতুক সমালোচনা কাম্য নয় : প্রধানমন্ত্রী
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর জঙ্গিবিরোধী অভিযান নিয়ে অহেতুক সমালোচনা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের জঙ্গিবিরোধী অভিযান বিশ্বের কাছে দৃষ্টান্ত বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
আজ বুধবার পুলিশ হাউজিং সোসাইটির প্লট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ পুলিশ অফিসার্স বহুমুখী সমবায় সমিতি পুলিশ অফিসার্স হাউজিং সোসাইটি গড়ে তুলছে। এই প্রকল্পেরই ২৫টি প্লটের বরাদ্দপত্র সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের হাতে তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এই প্লটের বরাদ্দপত্র হস্তান্তর করেন তিনি। এ সময় সরকারের চলমান জঙ্গিবিরোধী অভিযানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকার প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘অন্যান্য জায়গায় দেখা যায় যে ঘটনা ঘটার পরে তারপর তারা অপরাধীদের ধরে বা যা কিছু করে। কিন্তু আজ পর্যন্ত আমি, এমনকি উন্নত দেশগুলোতে দেখলাম না, ঘটনা ঘটার আগে কোথাও তারা এই ধরনের যারা কর্মকাণ্ড করতে যাচ্ছে, সন্ত্রাসী বা জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত তাদেরকে তারা কিন্তু এ পর্যন্ত ধরতে পারেনি। এই দৃষ্টান্তটা আমরা বাংলাদেশে দেখাতে পেরেছি।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা জীবন বাজি রেখে জঙ্গিবিরোধী এসব অভিযানে অংশ নিচ্ছেন বলে উল্লেখ করেন শেখ হাসিনা। সন্ত্রাসীরা সমাজ ও দেশের শত্রু উল্লেখ করে অভিযানের পাশাপাশি তা নির্মূলে জনসচেতনতা বাড়াতে কাজ করার আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের তো বাংলাদেশের মানুষের অভ্যাস আছে যে কাজই আপনারা করেন, কিছু লোক থাকে একটা কিন্তু খুঁজে বের করা। কোন জায়গাটায় কী ধরনের অপারেশন চালাতে হবে, সে জায়গাটার অবস্থাটা বুঝে, সেখানকার আশপাশের লোকজন, ঘনবসতি দেশ আমাদের, কারো কোনো ক্ষতি না হয়, অনেক কিছু বিবেচনা করে আমাদের পদক্ষেপ নিতে হয়।’
পরে একই স্থানে বিমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলের জন্য অনুদানের চেক তুলে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া ১৩৬তম ইন্টার পার্লামেন্টারি ইউনিয়নের (আইপিইউ) সম্মেলনে যোগ দিতে আসা চেক রিপাবলিকের প্রতিনিধিদল দেখা করে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। এ সময় তাঁরা দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।