রায় ফাঁসের মামলায় ব্যারিস্টার ফখরুলের জামিন বহাল
সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় কারাদণ্ড পাওয়া আইনজীবী ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামকে এক বছরের জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। এতে তাঁর মুক্তিতে বাধা নেই বলে জানিয়েছেন আইনজীবী।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেত্বত্বে চার সদস্যর বেঞ্চ হাইকোর্টের জামিন স্থগিত চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
বেঞ্চের অপর সদস্যরা হলেন, বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আসামিপক্ষে ছিলেন জয়নুল আবেদীন ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
গত ৪ এপ্রিল জামিন আদেশ দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের হাইকোর্ট বেঞ্চ।
গত বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার রায়ের খসড়া ফাঁসের মামলার রায় দেন বাংলাদেশ সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালের বিচারক কে এম শামসুল আলম।
রায়ে সাকা চৌধুরীর আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম ফখরুল ইসলামকে ১০ বছর এবং ম্যানেজার মাহবুবুল হাসান, ব্যারিস্টার ফখরুল ইসলামের জুনিয়র আইনজীবী মেহেদী হাসান, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কর্মচারী ফারুক আহমেদ ও নয়ন আলীকে সাত বছর করে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অন্য দুই আসামি সাকা চৌধুরীর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরী খালাস পান।
ব্যারিস্টার ফখরুলকে ১০ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস এবং অন্য চারজনকে ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে ছয় মাস করে কারাদণ্ডাদেশও দেওয়া হয়।
এদিকে, হাইকোর্টের একই বেঞ্চ গত বছরের ২২ নভেম্বর সাত বছরের কারাদণ্ডাদেশ পাওয়া মাহবুবুল হাসানের আপিলও শুনানির জন্য গ্রহণ করেন।
একইসঙ্গে সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর রায় ফাঁসের মামলায় তাঁর স্ত্রী ফারহাত কাদের চৌধুরী ও ছেলে হুম্মাম কাদের চৌধুরীকে খালাসের রায় বাতিল করে সুবিধাজনক সাজা দেওয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। এ আদেশ পাওয়ার ছয় সপ্তাহের মধ্যে তাঁদের বিচারিক আদালতে আত্মসমর্পণেরও নির্দেশ দেন আদালত।
মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ২০১৩ সালের ১ অক্টোবর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। তবে রায়ের আগেই সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীর স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের সদস্য এবং আইনজীবীরা রায় ফাঁসের অভিযোগ তোলেন। তাঁরা ‘রায়ের খসড়া কপি’ সাংবাদিকদের দেখান এবং স্পাইরাল বাইন্ডিং করা কপি নিয়ে ট্রাইব্যুনালের এজলাসকক্ষে যান।
রায় ঘোষণার পরের দিন ০২ অক্টোবর ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার এ কে এম নাসির উদ্দিন মাহমুদ বাদী হয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনে শাহবাগ থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়।